দম্পতি: দুরন্ত ফর্মের জন্য স্ত্রী অনুষ্কাকেও কৃতিত্ব দিলেন কোহালি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর নেতৃত্বে একদিনের ক্রিকেটে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। গোটা সিরিজে ৫৫৮ রান করে সিরিজ সেরাও তিনি। একদিনের ক্রিকেটে ৩৫ তম শতরান করে শুক্রবার ভারতের আট উইকেটে জয়ের নায়কও তিনি। বিরাট কোহালির পৃথিবীটা বদলে গিয়েছে তিন সপ্তাহেই।
তিন সপ্তাহের মধ্যেই এ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারত অধিনায়কের এই সাফল্যের নেপথ্যে কে? গোটা ক্রিকেট দুনিয়া যখন বিরাট কোহালির এই সাফল্যে মুখর, তখন ভারত অধিনায়ক দেখাচ্ছেন তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা-কে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের প্রথম একদিনের সিরিজ জয়ের পিছনে পরোক্ষে থাকছে ‘বিরষ্কা’ ফ্যাক্টরও।
এ দিন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে ভারতীয় অধিনায়ক সেই ‘লেডি লাক’-র সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমার এই সাফল্যের নেপথ্যে কিছু কাছের মানুষ রয়েছেন। বিশেষ করে, আমার স্ত্রী। গোটা সিরিজে প্রেরণা জুগিয়ে আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে ও। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। অতীতে এর জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছে আমার স্ত্রী-কে। সেই অনুষ্কাই কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় গোটা সিরিজে আমাকে প্রেরণা দিয়ে গিয়েছে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এই প্রেরণা প্রাপ্তি একটা দুর্দান্ত অনুভূতি।’’
আরও পড়ুন: বিরাট আসলে সৌরভের উন্নততর সংস্করণ: সহবাগ
২৭ জানুয়ারি যখন টেস্ট সিরিজ ১-২ হেরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসেছিলেন ভারত অধিনায়ক সে দিন চোখে ছিল একদিনের সিরিজে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি একদিনের সিরিজে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই ৫-১ হারিয়ে বিরাট কোহালি এ বার স্বপ্ন দেখছেন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাড়ি ফেরার। এ দিন সে কথাও বলতে ভোলেননি ভারত অধিনায়ক। ‘‘প্রথম দুই টেস্টে মানসিক ভাবে কিছু সমস্যা হয়েছিল আমাদের। কিন্তু জোহানেসবার্গ থেকেই আমরা ঠিক করি আর পিছোনো চলবে না। টেস্ট সিরিজ হারের দিনেও সকলের সামনে এসে এ কথাই বলেছিলাম। এ বার একদিনের সিরিজ জিতে এসে বলব, সিরিজ কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আমাদের এই পারফরম্যান্সই ধরে রাখতে হবে।
একদিনের সিরিজে ৫৫৮ রান করার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বিশ্বরেকর্ডও গড়লেন ভারত অধিনায়ক। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তিনিই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি পাঁচশোর উপর রান করলেন। ২০১৩-১৪ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার ৪৯১ রানই এত দিন সর্বোচ্চ ছিল। কিন্তু সেই রান এ দিন টপকে গিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন বিরাট।
একই সঙ্গে এ দিন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও জানিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। বলেন, ‘‘এখনও আট-নয় বছর ক্রিকেট খেলব। আর তার পুরো সময়টাই সেরা পারফর্ম করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এটা আশীর্বাদ যে আমি সুস্থ অবস্থায় দেশের অধিনায়কত্ব করতে পারছি। দেশের হয়ে যত দিন খেলব তত দিন একশো কুড়ি শতাংশ দিতে চাই।’’
একই সঙ্গে এ দিন যশপ্রীত বুমরা-র বলে ইমরান তাহিরকে শর্ট কভারে তালুবন্দি করে একদিনের ক্রিকেটে শততম ক্যাচও নিলেন বিরাট। দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের এই রূপকথার মতো পারফরম্যান্স সম্পর্কে ভারত অধিনায়ক ম্যাচ শেষে বলে যান, ‘‘এই সিরিজটা ছিল রোলার কোস্টারে সওয়ার হওয়ার মতো। কখনও পারফরম্যান্স গ্রাফ উঠেছে। আবার কখনও নেমেছে।’’
তাঁর প্রশংসা প্রাপ্তির দিনে সতীর্থের প্রশংসা করতেও ছাড়েননি ভারতের এই বর্ণময় অধিনায়ক। বলছেন, ‘‘ওরা দারুণ পারফর্ম করল। বিশেষ করে আমাদের দুই তরুণ স্পিনারের কথা বলতেই হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy