নায়ক: জীবনের প্রথম টেস্টেই ম্যাচ সেরা হলেন লুঙ্গি এনগিডি। ছবি: এএফপি
অভিষেক টেস্টেই দলকে জিতিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ছ’উইকেট নিয়েছেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি। আর এত সব সোনার মুহূর্তের মধ্যে থেকে বিশেষ একটি মুহূর্ত বেছে নিতে বললে লুঙ্গি এনগিডি বেছে নিচ্ছেন বিরাট কোহালির উইকেট।
বুধবার ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে এনগিডি বলেন, ‘‘বিরাট কোহালিকে আউট করার মুহূর্তটা ভুলতে পারব না। আমি কোহালিকে নিয়ে অনেক ভেবেছিলাম। আমার মনে হয় ওর জন্য আমি একটা গেমপ্ল্যানও তৈরি করতে পেরেছিলাম। তাই শেষ পর্যন্ত কোহালির উইকেট নেওয়াটা আমার কাছে একটা বিশেষ তৃপ্তির মুহূর্ত।’’
নিজের ঘরের মাঠে দলকে টেস্ট জিতিয়েছেন। গোটা মাঠ উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যে প্রসঙ্গে এনগিডি বলছেন, ‘‘এই অনুভূতিটা বলে বোঝানো কঠিন। আসলে আমি এ রকম পরিস্থিতিতে আগে তো পড়িনি। একটু সময় লেগেছে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে। আর তাই যখনই ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পেরেছি, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। এটা অত্যন্ত সম্মানের যে আমার পরিশ্রমের মর্যাদা দিয়েছে মানুষ।’’
তাঁকে যে সতীর্থ কাগিসো রাবাডাও সহায়তা করেছেন, সে কথাও এ দিন জানিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ন পার্ক টেস্টের ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বলেছেন, ‘‘তরুণ ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ওর জ্ঞান দুর্দান্ত। ও যে এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর বোলার তা দেখিয়ে দিয়েছে। ইনিংসের মাঝে বেশ কয়েক বার আমি ওর সঙ্গে কথা বলি। প্রত্যেক বারই রাবাডার মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছি। আর তা কাজেও লেগেছে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার এই তরুণ পেসার তাঁর দেশের সপ্তম ক্রিকেটার যিনি আবির্ভাব টেস্ট ম্যাচে এক ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট দখল করলেন। নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে লুঙ্গি এনগিডি বলছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় খেলতে চাই। অতীতে চোটের কারণে সুযোগ আমার হাতছাড়া হয়েছে তা অনেকেই জানেন। তখন জানতাম না কী করতে হবে। কিন্তু এ বার ফের নতুন করে শুরু করলাম। পারফরম্যান্সের এই ধারাটা বহন করতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy