আজকের হ্যাটট্রিক ম্যান উইলিস প্লাজা। —ফাইল চিত্র।
মহমেডানের সঙ্গে ড্র করার পর জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। টালিগঞ্জকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে আবার উঠে এল লাল-হলুদ ব্রিগেড। মহমেডানের কাছে আটকে যাওয়ার আগে পর্যন্ত একটিও পয়েন্ট নষ্ট করেনি ইস্টবেঙ্গল। তার আগেই মিনি ডার্বিতে মহমেডানের কাছে আটকে যেতে যেতেও শেষ মুহূর্তের গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মোহনবাগানকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজহারউদ্দিন। একইভাবে শেষ বেলায় ইস্টবেঙ্গলকে সেই মিনি ডার্বিতেই দলকে সমতায় ফিরিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন উইলিস প্লাজা।
আরও পড়ুন
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের নেতা অমরজিৎ সিংহ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে উঠতে দেওয়া হল না বাংলাদেশ ক্রিকেটার রুবেলকে
মহমেডানের বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিলেন প্লাজা সেখান থেকেই যেন পরের ম্যাচ শুরু করলেন টালিগঞ্জ অগ্রগামীর সঙ্গে। নিজের নামের পাশে লিখে নিলেন হ্যাটট্রিক। প্রথমার্ধে এক গোলই করতে সক্ষম হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২৭ মিনিটে উইলিস প্লাজার গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। বাঁদিক থেকে রফিকের কর্নারে হেড করে গোল করে যান প্লাজা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও সেই প্লাজা। ৫০ মিনিটে টালিগঞ্জের ডিফেন্স ভেঙে ঢুকে পড়েছিলেন প্লাজা। তাঁকে গোলমুখি শট নিতে আটকাতে পারেননি কেউই। প্লাজার ২-০র সঙ্গে জয়ের ছবিটাও পরিষ্কার হতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের। এ দিন মিডফিল্ডে অনেক পাস খেলতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলকে। ২-০ হয়ে যাওয়ার পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায় কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নদের। ৬৩ মিনিটে দলকে ৩-০ করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের হ্যাটট্রিকটিও সেরে ফেলেন প্লাজা। এ বার গোলের বলটি বাড়িয়েছিলেন চুলোভা।
প্লাজার হ্যাটট্রিকের পর দলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন বাকিরা। ৮১ মিনিটে নিখিল পূজারীর গোলে ৪-০তে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ঠিক তার দু’মিনিটের মধ্যে ৫-০ করে যান রালতে। ডার্বির আগে এই জয় খুবই দরকার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন টালিগঞ্জের গৌতম কুজুর। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের হ্যাটট্রিক ম্যান উইলিস প্লাজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy