ঋদ্ধিমান সাহা। —ফাইল চিত্র।
কোচ কুম্বলেকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তিনি হঠাৎ করেই ভারতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর। শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত তাঁকে থেকে যাওয়ার আর্জি জানালেও তিনি তা মেনে নেননি। তাই তড়িঘড়ি ডেকে কোচ বেছে নেওয়া হয় রবি শাস্ত্রীকে। যদিও সব পরিস্থিতি দেখে বোঝাই গিয়েছিল অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের জেড়েই চলে যেতে হচ্ছে অনিল কুম্বলেকে। আর সেই জায়গা নিচ্ছেন অধিনায়কের প্রিয় পাত্র রবি শাস্ত্রী। এতদিন পরে এসেও অনিল কুম্বলেকে নিয়ে প্রশ্নের হাত থেকে ছাড় নেই ভারতীয় দলের। এ বার তেমনই প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হল ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকে। ওয়ান ডে দলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি চলে আসায় কলকাতায় ফিরতে হয়েছে ঋদ্ধিমানকে। সেখানেই এই প্রশ্নের জবাব দিতে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন
ডাম্বুলায় বিরাটের দেখা সেই প্রথম দিনের স্মৃতির সঙ্গে
ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন ফকনার-কুল্টারনাইল
কুম্বলে তাঁর ইস্তফাপত্রে দাবি করেছিলেন, বিরাটের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক নেই। উল্টোদিকে বিরাট আবার কুম্বলের কোচিং স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ঋদ্ধিমান বলেন, ‘‘আমার কখনও এমনটা মনে হয়নি। একজন কোচ হিসেবে তাঁকে কখনও কখনও কড়া হতেও হতো। কারও মনে হয়েছে ও কড়া, কারও মনে হয়নি। আমার কখনও অনিল ভাইকে তেমন মনে হয়নি।’’
দুই কোচের মধ্যে তুলনাও করতে বলা হয় ঋদ্ধিকে। তিনি বলেন, ‘‘অনিল ভাই সব সময় চাইত বড় রান করি আমরা। ৪০০, ৫০০, ৬০০ রান। আর ভাবত প্রতিপক্ষ ১৫০ থেকে ২০০ রানে অল-আউট হয়ে যাবে। যেটা সব সময় সম্ভব নয়।’’ আর রবি শাস্ত্রী? ঋদ্ধি বলেন, ‘‘রবি ভাই আমাদের সব সময় বলে, মাঠে নাম আর প্রতিপক্ষকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দাও। এটাই একমাত্র পার্থক্য। এ ছাড়া দু’জনেই সব সময় পজিটিভ কথা বলতেন। রবি ভাই যখন ডিরেক্টর ছিলেন তখন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। এ বার কোচ হিসেবে অনেকবেশি মিলেমিশে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy