রুদ্বশ্বাস ফাইনাল। সামান্য কয়েকটা ফ্যাক্টরই পার্থক্য গড়ে দিল। এটা এমন একটা টুর্নামেন্ট যেখানে দলগুলোর তফাত খুব সামান্যই ছিল। প্রতিটা দলই ব্যালান্সড। সেখানে পেনাল্টিতে ফয়সালা হওয়া মানেই বোঝা যাচ্ছে ঠিক কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মশলা ছিল।
ফুটবলের বিচারে ফাইনাল এমন আহামরি কিছু হয়নি। হারের ভয় মাথায় থাকায় দু’দলই খুব সতর্ক ফুটবল খেলেছে। আগেই বলেছিলাম, ম্যাচটায় কয়েকটা সূক্ষ্ম জিনিসই পার্থক্য গড়ে দেবে। এটা তার অন্যতম কারণ। আমার মনে হয় কেরলের আরও আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল। কারণ ওরা খেলছিল ঘরের মাঠে। কিন্তু আগে একটা ফাইনালে ধাক্কা খাওয়ায় সেই হারের রেশটা ওদের উপর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ডিফেন্স করার সময় খেলা ছড়ানোর কোনও জায়গা তৈরি করেনি কেরল। কিন্তু ওরকম হাড্ডাহাড্ডি সেমিফাইনালের পর নির্ধারিত নব্বই মিনিটেই কেরল কেন জয়ের জন্য ঝাঁপাল না দেখে আমি অবাক হলাম।
আটলেটিকো খুব বুদ্ধি করে খেলল। সতর্ক থেকে। কেরলের থেকে এক দিন আগে সেমিফাইনাল খেলেছিল বলে ওরা অনেক বেশি ফ্রেশ ছিল। আমার মনে হয় আটলেটিকো আক্রমণের আর একটু চেষ্টা করতেই পারত। জাভি লারাকে নীচে নামতে দেখে খুব খারাপ লাগছিল কারণ, ওর মতো ফুটবলারের দারুণ সমস্ত মুভ তৈরি করার ক্ষমতা আছে। যাই হোক, ম্যাচটা খুব হাড্ডাহাড্ডি হল। ঘরের দল হারায় খারাপই লাগছিল সমর্থকদের কথা ভেবে। সত্যি দেখার মতো দৃশ্য ছিল। বোরহা ফার্নান্দেজও পরে নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাকাউন্টে বলেছে এই আবহটা ওর দেখা সেরা। রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ফুটবলারের থেকে এমন প্রশংসা সত্যি আইএসএলের বড় প্রাপ্তি।
শেষমেশ প্রতিটা দলকে, সংগঠকদের ও মালিকদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই যাদের সাহায্যে টুর্নামেন্টটা স্মরণীয় হয়ে থাকল। প্লেয়ারদের গুণগত মান অনেক বেড়েছে এতে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষ করে ভারতীয়দের। ওদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। ঠিকঠাক পরিকাঠামো পেলে এদের আরও ভাল করে তৈরি করা যাবে।
দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। আবার দেখা হবে ভারত। ধন্যবাদ।
লুসিওর সেরা আইএসএল একাদশ: দেবজিৎ মজুমদার, লুসিয়ান গইয়ান,সেডরিক হেংবার্ট, সন্দেশ ঝিংগন, সেনা রালতে, বোরহা ফার্নান্দেজ, রাওলিন বোর্জেস, কিন লুইস, মার্সেলিনহো, সিকে বিনীথ, এমিলিয়ানো আলফারো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy