সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের কোচ মাতোস ও অধিনায়ক অমরজিৎ সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
একাগ্রতা, নিয়মানুবর্তিতা আর মানসিক শক্তির অনুশীলন।
প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এটাই নর্টন দে মাতোসের মূল মন্ত্র। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়ে গেলেন তিনি।
ভারতের আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ফিরে গিয়েছে ঘানা ও কলম্বিয়া। শুক্রবার প্রথম ম্যাচ খেলবে এই দুই দল। তার পরেই অধিনায়ক অমরজিৎ সিংহকে নিয়ে হাজির হলেন কোচ মাতোস। সঙ্গে দোভাষী। দু’জনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দিচ্ছিল আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে দল।
এক তো ঘরের মাঠে খেলা। দ্বিতীয়ত, ইউএসএ র্যাঙ্কিং-এ ভারতের থেকে কিছুটা এগিয়ে। ভারত যেখানে ২২, ইউএসএ সেখানে ১৪। যদিও ভারতের বাড়তি পাওনা ঘরের মাঠ। তাই একটু হলেও এগিয়ে হোমটিম। আর এই ইউএসএ দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ভারতীয় দলের। যেটা অবশ্য উল্টো দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ইতিবাচক। এই ভারতীয় দলকে অল্পবিস্তর চিনেই রেখেছে তারা।
দেখুন কী বলছে ভারতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক
এর মধ্যেই বোমা ফাটালেন মাতোস। তিনি নাকি খেলতে চান ১২ জনে। আসলে মাতোসের দলের ১২ নম্বর প্লেয়ারটি হল, ৫৮ হাজারের গ্যালারি। হোম গ্রাউন্ডের তো এটাই লাভ। সেই ভরা গ্যালারিতে খেলতে কেমন লাগে দেখতে চান ভারত অধিনায়ক অমরজিৎ সিংহ। এই মণিপুরীর চোখেমুখে ভয়ের কোনও চিহ্নই নেই। এই নাকি প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামছে।
কোচ মাতোসের জাদুকাঠিতে যেন পুরো দলই চেগে রয়েছে। তাই হয়তো অমরজিৎ সরবে বলে দিতে পারেন, ‘‘লড়ে নেব। লড়াই করব শেষ পর্যন্ত ফল নিয়ে ভাবছি না।’’ শুধু তাই নয়, দেশের জার্সি পরে বিশ্বকাপ খেলার জন্যই তো সব। তাই অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক। তার মধ্যে কোচের ১২ জনের খেলার কথা যেন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে অমরজিতকে। অধিনায়ক তখনই সফল যখন তাঁর দল জিতবে। অমরজিতের আত্মবিশ্বাস বলে দিচ্ছে তৈরি তার দল।
আসলে মাতোসের দলের ১২ নম্বর প্লেয়ারটি হল, ৫৮ হাজারের গ্যালারি।—নিজস্ব চিত্র।
আগের টুর্নামেন্টে দেখা লাল কার্ডের জন্য প্রথম ম্যাচে দলের অন্যতম সাইডব্যাক বরিস সিংহকে পাচ্ছে না দল। সেটাও যেন প্রভাব ফেলছে না দলের উপর। মাতোস বলে দিলেন, ‘‘আমার বিকল্প তৈরি।’’ গোলে যে ধিরাজ খেলবে তা নিয়ে বিশেষ কোনও সন্দেহ নেই। বাংলার অভিজিৎ সরকারের প্রথম দলে জায়গা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাংলার ফরোয়ার্ড রহিম আলি থাকছেন প্রথম দলে। তার সঙ্গে শুরু করতে পারে অনিকেত যাদব।
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে অনুশীলনে সাংবাদিকদের জন্য ১৫ মিনিট বরাদ্দ। তা শেষ হতেই টেকনিক্যাল অনুশীলনে ঢুকলেন মাতোস। এর পরই ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ইউএসএ কোচ জানিয়ে গেলেন এগিয়ে ভারতই। কারণ এটা ওদের হোম গ্রাউন্ড। তাই তৈরি ভারত।
মাতোসের এই মন্ত্র কতটা কাজে লাগাতে পারে ১৭-র একঝাঁক ভবিষ্যতের তারকা তার জন্য আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা। কে বলতে পারে প্রথম ম্যাচেই লেখা হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতের ভাগ্য। লড়কে লেঙ্গে বিশ্বকাপের মুডেই যে গোটা ভারতীয় দল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy