ভারতীয় বোর্ডের কোচ ও অধিনায়কদের বার্ষিক বৈঠকে খারাপ আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয় সোমবার। এই মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি ম্যাচে খারাপ আম্পায়ারিংয়ের শিকার হতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। এ বিষয়ে ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে বেশির ভাগ অধিনায়ক ও কোচ প্রশ্ন তুলেছেন। এই নিয়ে বৈঠকে বিতর্কের সৃষ্টিও হয়। এলিট প্যানেলে সুন্দরম রবি ছাড়া কোনও আম্পায়ার নেই। সেখান থেকেই আম্পায়ারিং সম্পর্কে অনুমান করা যায়।’’
ওয়ান ডে-তে ঘরের মাঠে কোকাবুরা বলের বদলে টেস্টের মতোই এসজি বল দিয়ে খেলার পরামর্শ দেওয়া হয় এই বৈঠকে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে প্রথম বার সাদা এসজি বলে খেলা হয়। সেই টুর্নামেন্টে এসজি বল খুব একটা নজর কাড়তে পারেনি। কিন্তু বিজয় হজারে ট্রফি থেকে আরও উন্নত এসজি বল ব্যবহার করা হয়। তার পরেই বলের মান নিয়ে খুশি হন অধিনায়কেরা। বৈঠক উপস্থিত এক অভিজ্ঞ কোচের বক্তব্য, ‘‘এ বিষয়ে ‘জিএম’ সাবা করিমের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কোকাবুরার থেকে এসজি বলের সিম অনেক মজবুত। তাই এই বল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’
ওয়ান ডে-তে এসজি বল ব্যবহার করা হলে সুবিধে পেতে পারেন ভারতীয় স্পিন ও পেস বিভাগ। কারণ মজবুত সিম থাকলে বল গ্রিপ করতে সুবিধে হয়। পাশাপাশি পুরনো এসজি বল সুইংও বেশি করে। সে ক্ষেত্রে ওয়ান ডে-তে ফের দেখা যেতে পারে পেসারদের রিভার্স সুইংয়ের দাপট। দু’দিক থেকে নতুন বল ব্যবহারের কারণে যা অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে।
সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে যে, এ বার থেকে টিভি-তে ১১০ দিন ধরে সম্প্রচার হবে ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি সম্প্রচার করা হবে ঘরোয়া ক্রিকেটও। একই সঙ্গে পুরনো নিয়মে চালু করা হবে রঞ্জি ট্রফি। আগে ২৮টি দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হতো। সেই নিয়মে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেত প্রত্যেকটি দল। এখন ২৮টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়ার কারণে গ্রুপ পর্যায়ে মাত্র ছ’টি ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ পায় না কোনও দল। বৈঠকে উপস্থিত এক অধিনায়ক এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগও অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy