কেইতো নাকামুরা। —নিজস্ব চিত্র।
এই জাপান দলে একটা মেসি আর একটা রোনাল্ডো রয়েছে সে খবর কি আছে ইংল্যান্ড শিবিরের কাছে? ইংল্যান্ড শিবির অবশ্য স্যাঞ্চোর ফিরে যাওয়া নিয়ে বেশ আবেগান্বিত। তার মধ্যেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে হবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিপক্ষ জাপান। সেখানেই খেলতে দেখা যাবে এলএম-টেন ও সিআর সেভেনকে। আসলে জাপান দলের এই দু’জনকে বিশ্ব ফুটবলের এই দুই সেরা তারকার সঙ্গেই তুলনা করা হয়। জাপানের মেসি (টেকফুসা কুবো) ও রোনাল্ডো (কেইতো নাকামুরা) কিন্তু এই যুবভারতী থেকেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তার আগে দলের এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইতো নাকামুরা নিজেই নিজের খেলাকে রোনাল্ডোর সঙ্গে তুলনা করলেন। বলে, ‘‘আমার মনে হয়, আমার খেলার স্টাইল অনেকটা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর মতো। ও যে ভাবে বল ড্রিবল করে বা ডান পায়ে যে ভাবে গোল শট নেয় সেটা আমার পছন্দ।’’
আরও পড়ুন
মনে হচ্ছিল নিজের দেশে খেলছি: টিম উইয়া
জাপানের সাতটি গোলের মধ্যে চারটিই এসেছে নাকামুরার পা থেকে। এই নিয়ে চতুর্থবার শেষ ১৬তে পৌঁছলো জাপান। শেষ ম্যাচে ক্যালেডোনিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে জাপান। গ্রুপ পর্বের খেলায় খুব খুশি হয়নি নাকামুরা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বস্ব দিয়ে ঝাপাতে বলছে দলকে। বলে, ‘‘যদি ফলের দিকে দেখি তা হলে আমি খুশি নই। আমাদের আরও আক্রমণাত্মক হতে হবে।’’ অন্যদিকে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড কিন্তু দারুণ সফল। দখলে রয়েছে ১১ গোল। যাদের ফেভারিট ভাবা হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে। যদি নাকামুরা আত্মবিশ্বাসী তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে। বলছিল, ‘‘জাপান অবশ্যই জাপান। যাদের মধ্যে কোনও সংশয় নেই। কলকাতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া লক্ষ্যে আমরা শুরু করেছিলাম আড়াই বছর আগে থেকে।’’
আরও পড়ুন
স্যাঞ্চো নেই, ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ড
দীর্ঘদিন ধরে এই লক্ষ্যেই জাপানের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ দল প্রস্তুতি নিয়েছে। এতদিন ধরে এই জাপান দলের খাওয়া, ঘুমনো, বেঁচে থাকা সবই ছিল এই টুর্নামেন্ট। জাপানের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হলেও তিনি তা নিয়ে ভাবতে রাজি নয়। তার কাছে দলের জয়টাই মুখ্য। তাই বলছিল, ‘‘গোল্ডেন বুটের থেকে গোল্ডেন বল অনেকবেশি ভাল। গোল্ডেন বল টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ারকে দেওয়া হয়। আমি দলের সাফল্যের ভাগিদার হতে চাই। শুধু গোল করতে চাই না।’’ এখান থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইউরোপে খেলতে চায় নাকামুরা। কারণ জাপানের অনেক ফুটবলারই খেলে সেখানে। তারও সেটাই লক্ষ্য। তিনি অনেকবেশি উইংয়ে খেলতে ভালবাসে। ড্রিবলিংয়ের থেকে শট নিতে পছন্দ করে। বলে, ‘‘আমি আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ তৈরি করতে পারি আবার গোলও করতে পারি। যে কারণে আমি উইংয়ে খেলতে পছন্দ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy