গোল বাতিলের পর অবাক মেসি। ছবি: এএফপি।
খেলার ফল ১-১। ফল দেখলে মনে হবে, ম্যাড়মেড়ে ৯০ মিনিট। কিন্তু, ম্যাচের ৩০ মিনিটে যে ড্রামা হল তা নিয়ে এখনও চলছে বিতর্ক।
এতে চূড়ান্ত বিরক্ত বার্সা শিবির। বিরক্ত স্বয়ং মেসিও। ম্যাচের প্রথম গোলটি করে ফেলেছিলেন মেসিই। কিন্তু, রেফারি তা বাতিল করেন। তাঁর দেখার ভুলেই যে এই কাণ্ড, তা প্রমাণ হয় ম্যাচের রিপ্লে দেখার পরেই। গোল লাইন টেকনোলজি না থাকার ফল ভুগতে হল বার্সেলোনাকে।
আরও পড়ুন
যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকেই নতুন শুরু মার্সেলোর
দেবজিতের কোনও দোষ নেই: শেরিংহ্যাম
ঠিক কী ঘটেছিল ওই সময়?
রাকিটিচের একটা ক্রস ছিল। নেতো বেরিয়ে এসেছিলেন জায়গা ছেড়ে। সেই বলে শট নিয়েছিলেন মেসি। তা দেখে গোলের কাছে ফিরে যান নেতো। কিন্তু তিনি ধরার আগেই সেই বল আছড়ে পড়ে মাঠে। রেফারি দেখতে পাননি বল পেরিয়ে গিয়েছে গোল লাইন। সেখান থেকেই বল বাইরে পাঠান নেতো। গোলের দাবি তোলে বার্সেলোনা। কিন্তু খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মেসি অ্যান্ড ব্রিগেড। ম্যাচ শেষে আলবা বলেন, ‘‘এটা রেফারির একটা মারাত্মক ভুল। আমি মাঠের মাঝখানে বসে ম্যাচ দেখছিলাম। হাফ টাইমেও রিপ্লে দেখেছি। ওটা স্পষ্ট গোল ছিল।’’
জোর্দি আলবার গোলের পর বার্সা শিবিরে উচ্ছ্বাস।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খোলে হোম টিম ভ্যালেন্সিয়া। ৬০ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন রডরিগো। ৮২ মিনিটে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান জোর্দি আলবা। মেসির গোল হয়ে থাকলে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নিতে পারত বার্সা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বার্সেলোনাকে।
যদিও এই ম্যাচ শেষে বিশ্ব ফুটবলে ফলাফল নয়, ঝড় উঠল রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে। আরও এক বার প্রশ্ন উঠে গেল গোল লাইন টেকনোলজির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy