মোহনবাগানের জয়ের নায়ক ডিপান্ডা ডিকা। ছবি: পিটিআই।
মোহনবাগান: ৩
নেরোকা এফসি: ২
পিছিয়ে পরেও নেরোকার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিল মোহনবাগান। নেরোকাকে তাদের ঘরের মাঠেই ৩-২ গোলে ধারাশায়ী করল মোহন ব্রিগেড।
গোটা ম্যাচেই পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকল স্কোর বোর্ড। কখনও নেরোকা তো পরক্ষণেই মোহনবাগান।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোল করে নেরোকাকে এগিয়ে দেন সিংগম সিংহ। কিংশুক দেবনাথের ভুল থেকে গোল করে যান সিংগম।
তবে, এই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি গৌরমাঙ্গি সিংহ-ইউমনাম গোপি সিংহরা।
নেরোকার গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন ডিপান্ডা ডিকা। গোলরক্ষকই ফাউল করে বসেন ডিকাকে।
এই মরসুমে বাগানের পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট ডিকাই নেন সেই স্পট কিক। প্রত্যাশা মতোই ফল। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে বাগান।
গোলের উৎসব শেষ হতে না হতেই ফের গোল নেরোকার। আর এই গোলের ক্ষেত্রেও দায়ী সেই কিংশুক। মোহনবাগান রক্ষণের কাণ্ডারী হিসেবে যিনি ইতিমধ্যেই খ্যাতি আদায় করে নিয়েছেন তাঁর কাছ থেকে এই ভুল অপ্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: এইবারকে হারিয়ে বার্সার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রস্ততি শুরু
আরও পড়ুন: উইলিয়ানের জোড়া গোল, শেষ আটে চেলসি
টনডোন্ডা সিংহের পাশ থেকে গোল করে নেরোকাকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ান তারকা ফেলিক্স চিডি।
ম্যাচে লিড নিয়ে যখন লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা নেরোকা খেলায় ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে তখন ফের নেরকা শিবিরে বিপর্যয় ডেকে আনেন ডিফেন্ডাররা। ওয়াটসনের ক্রস ধরে প্রায় বিনা বাধায় ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে যান ডিকা। ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান।
বারবার গোল করে এগিয়ে গিয়েও রক্ষণভাগের ব্যর্থতায় গোল হজম করার জন্য প্রথমার্ধেই গৌরমাঙ্গি সিংহকে তুলে সুশীল কুমারকে মাঠে নামান নেরোকা কোচ। কিন্তু এই ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তনও এ দিন রক্ষা করতে পারেনি নেরোকাকে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় ইউটা কিনোয়াকির পাস থেকে গোল করে নেরোকার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন আক্রম মোগরাভি।
এর পর বহু চেষ্টা করেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে ব্যর্থ হয় দু'টি দলই। তবে, প্রথমার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণের যে ঝাঁঝ দেখা গিয়েছিল তা ছিল না দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়। বরং দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি উজ্জীবিত ফুটবল খেলে নেরোকা। অনেকগুলি সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু বাগান দূর্গের শেষ প্রহরীকে টপকাতে পারেননি চিডি-সুভাষরা। দ্বিতীয়ার্ধে একটা সময় খেলাটা এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যেখানে মনে হতে বাধ্য শিল্টন পাল বনাম নেরকা আক্রমণের লড়াই চলছে। এই সময় শিল্টনের বিশ্বস্ত হাত যদি রুখে না দাঁড়াত, তা হলে তখনই শেষ হয়ে যেতে পারত মোহনবাগানের আশা।
তবে, শেষ পর্যন্ত বিপাকে পড়তে হয়নি মোহনবাগানকে। পুরো তিনটি পয়েন্ট নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ডিকা-ইউটারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy