মোহনবাগানের হ্যাটট্রিক ম্যান কামো। ছবি: মোহনবাগানের ফেসবুক পেজ থেকে।
মোহনবাগান ৫ (কামো-৪, ক্রোমা)
পাঠচক্র ২ (নাদং ভুটিয়া, জোয়েল সানডে)
কামো-ক্রোমা জুটিতেই জয়ের ধারা ধরে রাখল মোহনবাগান। আর এই জুটিকে সোমবার নেতৃত্ব দিলেন কামো। একাই করলেন হ্যাটট্রিকসহ চার গোল। একটি গোল ক্রোমার।
মোহনবাগান গ্যালারিকে থমকে দিয়ে দিনের প্রথম গোল এসেছিল পাঠচক্রের নাদং ভুটিয়ার পা থেকে। সেই পাঠচক্র যারা সদ্য প্রিমিয়ারে জায়গা করে নিয়েছে। শুরুতেই হারিয়েছে তারকা খচিত মহমেডানকে। কিন্তু শুরু করে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শেষটা নিজেদের দখলে রাখতে পারল না নবাগত এই দল। ম্যাচ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করে পাঠচক্রকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নাদং ভুটিয়া। ডান দিক থেকে উড়ে আসা ক্রস গোলে পাঠান তিনি। এর পর মোহনবাগানের হয়ে ১-১ করেন কামো। ম্যাচ ততক্ষণে গড়িয়েছে ২৪ মিনিটে। ক্রোমার থেকে পাওয়া পাস ধরে দলকে সমতায় ফেরান কামো। তখন কে জানত এই কামোরই নামের পাশে লেখা হতে চলেছে হ্যাটট্রিকসহ চার গোল।
আরও পড়ুন
প্রথমার্ধ শেষের তিন মিনিট আগে মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান বাড়ান কামো। আবারও সেই ক্রোমা-কামো জুটিই। এ বার ছিল ক্রোমার কর্নার কিক। এখানেই শেষ প্রথমার্ধ। যেখানে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু হল দ্বিতীয়ার্ধ। বরং আরও কিছুটা এগিয়েই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৩-১ করলেন ক্রোমা। আর ডান পায়ের জোড়ালো শট বাঁচানোর ক্ষমতা ছিল না কোনও প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের। ৬২ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেললেন কামো। এ বারের কলকাতা লিগের তৃতীয় হ্যাটট্রিকটি করে ফেললেন মোহনবাগানের এই বিদেশি। এর আগের দুটো করেছেন ভিপি সুহের ও সুরাবুদ্দিন। দু’জনেই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার।
এর মধ্যেই ব্যবধান কমানোর সুযোগ চলে এসেছিল পাঠচক্রের সামনে। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মোহনবাগান গোলকিপার শিলটন পাল চোট পাওয়ায় পেনাল্টি শট নিতে মিনিট দু’য়েক দেরি হয়। শেষ পর্যন্ত শিলটনকে তুলে শিবিনরাজকে বাগানের গোলের নিচে আনতে বাধ্য হন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম ও নিজের চতুর্থ গোলটি করে যান কামো। পাঠচক্র যে শেষ পর্যন্ত লড়াই ছাড়েনি তার প্রমাণ মিলল অতিরিক্ত সময়ে। ৯২ মিনিটে ৫-২ করেন জোয়েল সানডে। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন কামো।
লিগের অন্য ম্যাচে কাস্টমস-টালিগঞ্জ ম্যাচ গোল শূন্যই থেকে গেল। রেনবো এফসি ১-০ গোলে হারিয়ে দিল রেলওয়ে এফসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy