মোহনবাগানের জয়ের নায়ক ডিপান্ডা ডিকা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
কোচ বদল হতেই জয়ে ফিরল মোহনবাগান। রবিবার ঘরের মাঠে আইজল এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল। মোহনবাগানের হয়ে একটি গোল করেন ডিপান্ডা ডিকা। অপর গোলটি আইজলের আত্মঘাতী। এই জয়ের সঙ্গেই পাহাড়ি বাধা টপকে লিগ জয়ের দৌড়ে নিজেদের ভাসিয়ে রাখলেন কিংশুকরা।
বিগত কয়েক দিন ধরে ঝড় বয়ে গিয়েছে বাগান তাঁবুতে। পরপর ম্যাচ ড্র করে এবং চেন্নাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে হেরে সমর্থকদের প্রবল রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল বাগান ফুটবলারদের। রোষ থেকে বাদ জাননি কোচ-অফিসিয়ালরাও। চেন্নাই ম্যাচ হারার পর যাবতীয় দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন বাগানের আই লিগ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন। সব মিলিয়ে, পাল তোলা নৌকা পড়েছিল বেশ ঝড়ঝঞ্ঝায়।
অবশেষে চার ম্যাচ পর জয়ের রাস্তায় ফিরল মোহনবাগান। তবে দল জিতলেও, স্ট্রাইকারদের লাগাতার খারাপ ফর্ম দুশ্চিন্তায় রাখল শঙ্করলালকে। আজও প্রথমার্ধে একের পর এক সহজ সুযোগ পেয়ে নষ্ট করেছে মোহনবাগান ফরওয়ার্ড লাইন।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি মাত্র, বললেন ইমরান
আরও পড়ুন: চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং কোচ হাসি
সহজতম সুযোগটি মোহনবাগান পেয়েছিল ম্যাচের ২২ মিনিটে। বল ক্লিয়ার করতে আইজল গোলরক্ষক অভিলাস পাল এগিয়ে আসায় ফাঁকা গোল পেয়ে যান ডিকা। কিন্তু গোল করতে পারেননি।
অন্য দিকে হারলেও এ দিনের ম্যাচে, বিশেষত প্রথমার্ধে, একেবারেই খারাপ খেলেনি আইজল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে আলফ্রেডের শট ক্রসপিসে লেগে না ফিরে এলে, ম্যাচের রং বদলে যেতেও পারত। তবে বহু চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের খাতা খুলতে পারেনি।
গোলের পর ডিকাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ক্রোমা-নিখিলদের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই জ্বলে ওঠে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বহু কাঙ্খিত গোলটি পায় মোহনবাগান। আত্মঘাতী গোল হজম করে আইজল। আইজল বক্সে রিকির নিচু ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন আফগান ডিফেন্ডার মাসি সাইঘানি। মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। নিখিল কদমের পাশ থেকে গোল করে বাগান ব্রিগেডকে ২-০ লিড এনে দেন ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার ডিপান্ডা ডিকা। এই গোলের ফলে নিজের উপর ক্রমাগত তৈরি হওয়া চাপ থেকেও যেন বেরিয়ে এলেন রজার মিল্লার দেশের স্ট্রাইকার। গোলের পর ডিকার অভিব্যক্তি অন্তত তেমনটাই বলছিল।
আইজলের বিরুদ্ধে জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এল শঙ্করলালের দল। অন্য দিকে, ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই থাকল গত বারের চ্যাম্পিয়ন আইজল। ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে আছে ইস্টবেঙ্গল।
তবে, দ্বিতীয়ার্ধে ডিকা ক্রোমাদের শরীরি ভাষার পরিবর্তন কিন্তু আরও একটি জিনিসের এ দিন ইঙ্গিত দিয়ে গেল। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ভোকাল টনিকই তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে দিয়েছিল মোহনবাগানকে? তা হলে কি আবার বাঙালি কোচের হাত ধরে ভোকাল টনিক ফিরছে ময়দানে?
এর উত্তর হয়তো দিতে পারবেন শঙ্করলাল নিজেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy