অনুশীলনে কিংসলে, কামো এবং ক্রোমা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ব়ৃষ্টি ভেজা রবিবাসরীয় সকাল। প্র্যাকটিস শেষ করে মাঠ থেকে বেরনোমাত্র কামো স্তেফানে বায়ো, এজে কিংসলে ওবুমানেমে ও আনসুমানা ক্রোমা-কে ঘিরে ধরলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কেউ চান অটোগ্রাফ। কারও আবদার সেলফির। কেউ আবার শুধু নতুন তিন বিদেশির সঙ্গে হাত মেলাতে পেরেই খুশি। অথচ বছর খানেক আগেও ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো।
জর্জ টেলিগ্রাফে খেলতেন কামো। ক্রোমো ও কিংসলে ছিলেন পিয়ারলেসে। কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলে নিঃশব্দে বাড়ি ফিরতেন। কেউ ফিরেও তাকাতেন না। কিন্তু আইজল এফসি-র আই লিগ জয়ের মতোই নাটকীয় ভাবে বদলে গিয়েছে তিন বিদেশির জীবন। কামো-কিংসলে ছিলেন আইজলের সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর। চার্চিলে সই করে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন ক্রোমা। টানা সাত বছর কলকাতা লিগ জিততে না পারার যন্ত্রণা ভুলতে এই তিন বিদেশিই এখন সবুজ-মেরুনের ভরসা। কামো বললেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার একমাত্র লক্ষ্য মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করা। টানা সাত বছর কলকাতা লিগ জিততে পারেনি ক্লাব। এ বার সেই ব্যর্থতা দূর করতে চাই।’’ এই ময়দানেই চরম উপেক্ষিত হয়েছেন। এখন আপনি তারকা। বদলে যাওয়া জীবন কতটা উপভোগ করছেন? ‘‘অতীত নয়, এখন শুধু সামনের দিকেই তাকাতে চাই,’’ বললেন দিদিয়ে দ্রোগবার দেশের স্ট্রাইকার। সঙ্গে যোগ করলেন, সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘মোহনবাগান বড় ক্লাব। প্রত্যেকটা ফুটবলারই স্বপ্ন দেখে এই ক্লাবে খেলার। যে সুযোগটা পেয়েছি, সেটা কাজে লাগাতে চাই।’’
কামোর মতো ক্রোমা-কিংসলেরও একই দর্শন। মিডফিল্ডার হলেও কামোর সঙ্গে ফরোয়ার্ডে শুরু করবেন ক্রোমা। বললেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজদের উজাড় করে দিতে চাই। তবে কে গোল করল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে দলের জয়টাই আসল।’’
কলকাতা লিগে অভিযান শুরু করার আগে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা উজ্জীবিত। কিন্তু সাদার্ন সমিতি অন্দরমহলে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। দীপক মণ্ডল, দীপঙ্কর রায়, লালম পুইয়ার মতো একঝাঁক অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছে। কিন্তু মাত্র দিন তিনেক আগে অনুশীলন শুরু করে যে মোহনবাগানকে হারানো যে অসম্ভব, তা কেউ-ই গোপন করার চেষ্টা করছেন না। হতাশ সাদার্ন সমিতির কোচ হেমন্ত ডোরা বললেন, ‘‘মাত্র তিন দিন প্র্যাকটিস করে আমরা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। দলে মাত্র একজন বিদেশি। চেষ্টা করব লড়াই করার।’’ তা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে দুর্বল বলতে নারাজ সবুজ-মেরুন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। এ দিন প্র্যাকটিসের পরে তিনি বললেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়। তার ওপর সাদার্নে একঝাঁক অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছে। তাই ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ: মোহনবাগান বনাম সাদার্ন সমিতি (মোহনবাগান, বিকেল ৫.০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy