হার্দিককে ঘিরে দলের উচ্ছ্বাস।—ফাইল চিত্র।
শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০৮ রান। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সেঞ্চুরি। তার আগেই অবশ্য ওপেনিংয়ে সেঞ্চুরি করে ভারতের হয়ে দারুণ শুরু করে দিয়েছিলেন ওপেনার শিখর ধবন। সেই শক্তিশালী ভীতের উপর দাঁড়িয়েই পাণ্ড্যর সেঞ্চুরি। ধবনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিকে শক্তিশালী করেছিলেন লোকেশ রাহুলের ৮৫ রানের ইনিংস। কিন্তু কোথাও একটা বাড়তি পাওনা হল হার্দিকের। যখন ভারতীয় সিনিয়র দলের নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ হার্দিকের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন কপিল দেবের। ভারতের ঘরে যাঁর অধিনায়কত্বে এসেছিল প্রথম বিশ্বকাপ। সেই ১৯৮৩তে। দেশের সফলতম অল-রাউন্ডার। যিনি একটা রাস্তা দেখিয়ে গিয়েছিলেন। দেখিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাটে-বলে কী ভাবে সাফল্য পাওয়া যায়। হার্দিকও সেই পথেই হাঁটছে।
আরও পড়ুন
বিরাটের মধ্যে পন্টিংয়ের ছায়া দেখতে পাই: হাসি
হার্দিক পাণ্ড্যর সেঞ্চুরির পর এমএসকে প্রসাদ বলেন, ‘‘ও যদি মাথা ঠিক রাখতে পারে তা হলে ও ভবিষ্যতে কপিল দেবে সমপর্যায়ে যাবে।’’ কপিল দেবের অবসরের পর থেকে তাঁর পর্যায়ের কোনও অল-রাউন্ডার আসেনি ভারতের বলেই বিশ্বাস অনেকের। এত বছর পর হার্দিককে নিয়ে সেই স্বপ্ন দেখার কথাই বলছেন প্রসাদ। মাঝে ইরফান পঠান, স্টুয়ার্ট বিনিরা নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাঁদের সাফল্য। প্রসাদ বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি এটা দেখে যে যে অল-রাউন্ডারের আমরা করছিলাম সেটা হার্দিকের মধ্যে আমরা পেয়েছি।’’ হার্দিক পাণ্ড্য ইতিমধ্যেই ওডিআই ও টি২০তে নিজের ছাপ রেখেছেন। আর এই টেস্ট সিরিজ থেকে লং ফর্ম্যাটে পা দিয়েও সফল হার্দিক। প্রসাদ বলেন, ‘‘এটা ভাল দিক যে ও সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। ওর সব থেকে ভাল দিক ওর বেসিকটা খুব শক্তিশালী। ব্যাটি, বোলিং ও ফিল্ডিং সব দিকেই।’’
আরও পড়ুন
ভারত-পাক স্বাধীনতা দিবসের আগে শান্তির বার্তা আফ্রিদির
পুরো দলের থেকেও দারুণ সমর্থন পেয়ে এসেছেন হার্দিক। বিশেষ করে অধিনায়ক বিরাট কোহালি। কোহালি তো গলে হাফ সেঞ্চুরি করার পরই বলেছিলেন, ‘‘বেন স্টোকস ইংল্যান্ডের হয়ে যেটা পারে হার্দিকের ভারতের হয়ে সেটা না পারার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না আমি।’’ তবে এটা ধরে রাখতে হবে সঙ্গে মাটিতে পা রেখেই এগোতে হবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy