রাজ্যবর্ধন রাঠৌর।—ফাইল চিত্র।
একটা টুইটেই ফের বোঝা গেল, দিল্লিতে বিশ্বকাপের যাবতীয় দায়িত্বে যে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটি রয়েছে, তারা কতটা ফ্লপ। টুইটটি করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর!
ওই টুইটে তিনি বিশ্বকাপের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কমিটিকে স্পষ্ট করে লেখেন, ‘‘আমাদের জন্য ফ্যানদের কী অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী কী সাহায্য দরকার আমাদের তরফ থেকে, সেটা জেনে নিন। জল ও খাবার যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, সে দিকেও নজর রাখুন।’’ তাঁর কানে এই খবরও পৌঁছেছে যে, ১০০ টাকা দিয়ে এক কাপ জল কিনে খেতে হয়েছে কাউকে কাউকে। প্রকাশ্যে টুইট করে দেওয়া রাজ্যবর্ধনের এই বার্তাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, কতটা অব্যবস্থা রয়েছে দিল্লিতে বিশ্বকাপের ভেন্যু জুড়ে।
এই সেই টুইট
Fan experience is a very important factor for us. Please take what help you need from us & improve upon delivery of basics like food & water https://t.co/174ymNFOTh
— Col Rajyavardhan Rathore (@Ra_THORe) October 8, 2017
দিল্লির ব্যবস্থাপনায় খুশি নন স্বয়ং টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জেভিয়ার সেপ্পিও। সামনে আরও অনেক ফিফা টুর্নামেন্ট আয়োজনে যখন উদ্যোগী হচ্ছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, তখন প্রথম আয়োজনের এই সব অব্যবস্থা বাধ সাধতে পারে পরবর্তী কালে।
জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের টিকিট ঘর।—নিজস্ব চিত্র।
সমস্যা একটা নয়, অনেকগুলো। গ্যালারির অপরিষ্কার চেয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরাট স্টেডিয়াম জুড়ে এমন কাউকে প্রায় পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি ঠিক ভাবে যাতায়াতের পথ বুঝিয়ে বা দেখিয়ে দিতে পারছেন। মিডিয়ারুমের এসি বেশির ভাগ সময়েই চলে না। বরং সেখান থেকে জল পড়তে দেখা যাচ্ছে। সেখানে জলও ফুরিয়ে গিয়েছিল প্রথম ম্যাচের দিন। এ ছাড়া, স্টেডিয়ামের ভিতরে ভলান্টিয়ার হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন যে সব ছেলেমেয়েরা, তাদের অনেকেরই সঠিক ট্রেনিং হয়েছে বলে মনে হয় না। প্রথম ম্যাচের পর মিক্সজোনে দেখা যায় তেমনই এক জনকে দাঁড় করিয়ে দিতে। এবং তিনি সাংবাদিক আর ফুটবলারদের মধ্যে বাধা তৈরি করার চেষ্টা করতে থাকেন। যা নিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সরগরমও হয়ে ওঠে। পরে আয়োজকদের তরফে এ জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও খবর
ফুটবল উৎসবের মধ্যেই বড্ড একলা দিল্লির অম্বেডকর স্টেডিয়াম
টিকিট বিক্রি নিয়েও আঙুল উঠেছিল স্থানীয় কমিটির দিকে। কাউন্টারে, ‘সোল্ড আউট’ বোর্ড, অন-লাইনেও তাই। কিন্তু স্টেডিয়ামের অনেকটাই ফাঁকা থেকে গেল কী করে! কোথায় গেল সেই ১০ হাজার টিকিট? এ নিয়ে অবশ্য গত কাল একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের তরফে। স্পনসর-সহ আরও কারও কারও জন্য জায়গা রাখাটা বাধ্যতামূলক ছিল বলেই নাকি ওই অবস্থা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy