Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রক্তাক্ত মাদ্রিদ ডার্বিতে দুই সাত নম্বরই নিষ্প্রভ

ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটিয়ানো স্টেডিয়ামে মাদ্রিদ ডার্বির শেষে যাঁরা সবচেয়ে বেশি খুশি হলেন, তাঁরা নিশ্চিত বার্সেলোনার সমর্থক।

জখম: নাক ভাঙল র‌্যামোসের। শনিবার মাদ্রিদে। ছবি: টুইটার

জখম: নাক ভাঙল র‌্যামোসের। শনিবার মাদ্রিদে। ছবি: টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০০
Share: Save:

নজর ছিল তাঁদের দু’জনের ওপর। সাত বনাম সাতের লড়াই দেখতে ভরে গিয়েছিল স্টেডিয়াম। কিন্তু দুই সাত নম্বরই ব্যর্থ হলেন মাদ্রিদ ডার্বিতে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং আঁতোয়া গ্রিজম্যানের কেউই নিজেদের চেনা ছন্দে ছিলেন না। তাঁরা গোল পেলেন না। এবং রিয়াল মাদ্রিদ এবং আতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হল।

ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটিয়ানো স্টেডিয়ামে মাদ্রিদ ডার্বির শেষে যাঁরা সবচেয়ে বেশি খুশি হলেন, তাঁরা নিশ্চিত বার্সেলোনার সমর্থক। এই ড্রয়ের ফলে লা লিগায় রিয়ালের চেয়ে দশ পয়েন্ট এগিয়ে থাকল লিওনেল মেসিদের দল।

আতলেতিকোর সঙ্গে ড্র করে উঠে রিয়াল ম্যানেজার জিনেদিন জিদান বলেছেন, ‘‘আমাদের এর চেয়ে বেশি কিছু প্রাপ্য ছিল। আমরা হয়তো গোল পাইনি, কিন্তু আমি আদৌ চিন্তিত নই।’’ বার্সার চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলেও জিদান আশাবাদী, লিগের পরের দিকে তাঁর দল বার্সাকে ধরে ফেলতে পারবে। জিদানের বক্তব্য, ‘‘এই লিগটা যথেষ্ট লম্বা। আমি নিশ্চিত, বার্সেলোনা পয়েন্ট নষ্ট করবে। আমাদের শুধু নিজেদের কাজটা করে যেতে হবে। আমি জানি, রিয়াল আর বার্সেলোনার মধ্যে পয়েন্টের ফারাকটা অনেক। কিন্তু এই ছবিটা বদলে যাবে।’’

রিয়াল বনাম আতলেতিকো ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্র রেষারেষিটা ধরা পড়ছিল। দু’দলের ফুটবলারদেরই ফাউল করতে দেখা যায়। নাক ফেটে যায় রিয়াল অধিনায়ক সের্জিও র‌্যামোসের। পরে জানা যায়, তাঁর নাক ভেঙে গিয়েছে। আতলেতিকো বক্সের মধ্যে হেড দেওয়ার সময় লুকাস হার্নান্দেজের বুট এসে লাগে র‌্যামোসের মুখে। নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। কেন পেনাল্টি দেওয়া হল না, এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে রিয়াল অন্দরমহলে। ম্যাচে রিয়াল বলের দখল বেশি রাখলেও সুযোগ সে ভাবে তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের পরে আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলে যান, ‘‘ড্র-টাই এই ম্যাচের ঠিক ফল হয়েছে।’’

রোনাল্ডো বনাম গ্রিজম্যান লড়াই দেখতে যাঁরা মাঠে এসেছিলেন, তাঁদের কিন্তু হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। গ্রিজম্যান এতটাই নিষ্প্রভ ছিলেন যে তাঁকে পরে তুলে নিতে বাধ্য হন সিমিওনে। এই নিয়ে পর পর দু’ম্যাচে একই ব্যাপার ঘটল। গ্রিজম্যানকে তুলে নেওয়ার সময় ঘরের মাঠেও বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় এই তারকাকে।

সিমিওনে অবশ্য তাঁর ফুটবলারকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘গ্রিজম্যান আমার পরিবারের এক সদস্য। আর আমি আমরণ আমার পরিবারকে রক্ষা করতে লড়ব। ম্যাচ জিততে গেলে প্রত্যেক ফুটবলারকে মাঠে নেমে কিছু না কিছু করতে হবে।’’

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ক্লাবের হয়ে শেষ গোল করেছিলেন গ্রিজম্যান। তার পর থেকে গোল খরা চলছে। এর মধ্যে আবার ফরাসি টিভি চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে গ্রিজম্যান বলে দেন, তিনি নেমারের সঙ্গে এক ক্লাবে খেলতে আগ্রহী। যেটা খুব ভাল মনে নেয়নি আতলেতিকো সমর্থকেরা। সিমিওনে বলছিলেন, ‘‘গ্রিজম্যান শান্তই আছে। ও ভাল খেলছেও। দেখবেন, এ বার গোল পেয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE