বিরাট কোহালির আগ্রাসী ক্রিকেট ভারতীয় দলের একটা শক্তি। বলছেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর।
ভারত অধিনায়ক সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ দিন সচিন বলেন, বিরাট যখন প্রথম ভারতীয় সিনিয়র দলের সদস্য হয়, তখনই ওর এই আগ্রাসী ক্রিকেটের ঝলক দেখা গিয়েছিল। ধীরে ধীরে সেই ব্যাপারটা এখন গোটা দলে ছড়িয়ে পড়েছে।
রবিবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের ২০০ তম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বিরাট। যেখানে তিনি নিজের ক্রিকেট জীবনের ৩১তম শতরানটি করেন। ম্যাচে ভারত হারলেও মুম্বইয়ে এই শতরান করে একদিনের ক্রিকেটে শতরানকারীদের ক্লাবে রিকি পন্টিং-কে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছেন কোহালি। তাঁর সামনে কেবল সচিন তেন্ডুলকর। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাঁর শতরানের সংখ্যা ৪৯।
আরও পড়ুন: বিরাটকে টুইট জোনসের, মুহূর্তের মধ্যে ট্রোলড টুইটারে
এ দিন কোহালির সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, ‘‘ওর আচরণ ও মানসিকতা পরিবর্তন এখনও পরিবর্তন হয়নি। প্রথম যকন টিমে আসে, তখন যে রকম দেখেছিলাম। এখনও সে রকমই আছে। ওর এই আগ্রাসী ক্রিকেটের ঝলক শুরুর দিন থেকেই আমার নজর এড়ায়নি। অনেকেই হয়তো এই আগ্রাসী মেজাজ পছন্দ করে না। কেউ কেউ এর জন্যই সমালোচনা করে কোহালিকে। কিন্তু এই মুহূর্তে বিরাটের আগ্রাসনটাই ভারতীয় ক্রিকেটের একটা বড় শক্তি। ওকে খুব বেশি পাল্টে যেতে হয়নি। বরং পাল্টে গিয়েছে ওর পাশের মানুষগুলো।’’
এখানেই না থেমে সচিন আরও বলেন, ‘‘বিরাটের আচরণ পরিবর্তন হয়েছে ওর পারফরম্যান্স ঝকঝকে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। আর নিজেকে প্রকাশ করার স্বাধীনতা একজন ক্রিকেটারের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
সচিন আরও বলেন, এই ভারতীয় দল টিম হিসেবে যথেষ্ট ব্যালান্সড টিম। বিরাটের ভারতীয় দল সম্পর্কে সচিনের মন্তব্য, ‘‘আমার মনে হয়, এই ভারতীয় দলে অনেক বেশি ভারসাম্য রয়েছে। এই দলে অনেক স্পিনার রয়েছে যারা ব্যাট করতে জানে। ব্যাটে রান তুলতে সক্ষম সিমাররাও। রবিবার ভুবনেশ্বর কুমার কী করল তা সবাই দেখেছে। ভুবনেশ্বর এবং হার্দিক পাণ্ড্য-র মতো ক্রিকেটার দলে থাকার সুবিধা কী তা বোঝা যাবে যখন আমরা বিদেশ সফরে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy