Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ভুবনেশ্বরের চার উইকেট, দুরন্ত হেরাথও

ইডেনের মতো উইকেট আরও চান শামিরা

টেস্টের একই ইনিংসে সব উইকেট পেসারদের, এমন ঘটনা ভারতের মাটিতে শেষ হয়েছিল ৩৪ বছর আগে, আমদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।

লড়াই: ভুবনেশ্বর কুমার, শামি-দের দাপট সামলে রবিবার ইডেনে ম্যাচে ফেরার লড়াই ভারতের। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।

লড়াই: ভুবনেশ্বর কুমার, শামি-দের দাপট সামলে রবিবার ইডেনে ম্যাচে ফেরার লড়াই ভারতের। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৩
Share: Save:

ইডেনের উইকেটে বল করে বেশ খুশি ভারতীয় দলের দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও মহম্মদ শামি। ইডেনে এমন উইকেট দেখে বেশি অবাক শামি। কারণ, ঘরের মাঠে এমন উইকেট অতীতে বড় একটা দেখেননি তিনি। তাই বলছেন, দেশের আরও অন্যান্য ক্রিকেট মাঠে এ রকম সবুজ উইকেট পেলে মন্দ হয় না।

টেস্টের একই ইনিংসে সব উইকেট পেসারদের, এমন ঘটনা ভারতের মাটিতে শেষ হয়েছিল ৩৪ বছর আগে, আমদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। কপিল দেব একাই সেবার ৯ উইকেট নেন। তার আগের বছর ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কপিল ও মদনলাল পাঁচটি করে উইকেট নেন। ইডেনে এ বার ফিরে এল পেসারদের সেই সুসময়। ভুবনেশ্বর কুমার বোর্ডের ওয়েবসাইটে বলেন, ‘‘এমন উইকেট তো আমরা সচরাচর পাই না। ঘরের মাঠের উইকেটে আমাদের কাজ হয় বলকে পুরনো করে তোলা, যাতে তা নিয়ে স্পিনাররা কামাল দেখাতে পারে। আমরা বড়জোর রিভার্স সুইং পাওয়ার চেষ্টা করতাম। ইডেনের মতো উইকেট আমরা বিদেশেও সব জায়গায় পাই না।’’

শামির সঙ্গে কথোপকথন চলছিল ভুবির। শামি বলেন, ‘‘এখানে এমন উইকেট সত্যিই আশা করিনি। ধর্মশালায় মাঝে মাঝে এ রকম পিচ দেখতে পাওয়া যায়। ইডেনে তো বহুদিন ধরে খেলছি। এখানে বরাবরই রিভার্স সুইংয়ের উপর নির্ভর করতে হত। এ বারই এ রকম দেখলাম।’’ এমন উইকেটই পছন্দ তাঁর, ভুবির মতো শামিও জানিয়ে দেন এই কথা, ‘‘পেসাররা সব উইকেট পেলে ভালই লাগে। আমার মনে হয়, এই প্রজন্ম কঠিন উইকেট পছন্দ করে। দেশের অন্যান্য মাঠে আরও এ রকম উইকেট হলে আরও নজির হবে নিশ্চয়ই।’’

আরও পড়ুন: পেরেরার ‘রিভিউ’ নিয়ে বিতর্ক চরমে

এ রকম বাইশ গজেও অবশ্য প্রথম দিন বল করতে নেমে কোনও উইকেট পাননি শামি। তখন তিনি বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান। বলেন, ‘‘উইকেট পাচ্ছিলাম না যখন, তখন নিজের ওপরই রাগ হচ্ছিল। প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। দিনের শেষে বুঝলাম এটাই আসল।’’ রবিবার চতুর্থ দিন তিনি নিজেকে শুধরে নিয়ে বোলিং শুরু করেন, আর তাতেই সাফল্য পান। বলেন, ‘‘ম্যাচের প্রথম দিন পিচ ওদের খুব সাহায্য করেছে। আমরা তখন ড্রেসিংরুমে ছটফট করছিলাম, কখন বল করতে নামব, আরও দ্রুত ওদের আউট করতে পারব হয়তো, এই ভেবে। কিন্তু তৃতীয় দিনে যখন বোলিং শুরু করি আমরা, তখন উইকেট বেশ ভাল হয়ে যায় ব্যাটিংয়ের জন্য। দশ-পনেরো ওভার পর থেকে বল নড়াচড়া শুরু করে। তৃতীয় দিনের চেয়ে বোলিংয়ে অনেক পরিবর্তন এনে বল করেছি আজ, মাঝে মাঝে একটু বেশি ওয়াইড করছিলাম। এটাই কাজে দেয়।’’

রবিবার খেলার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভুবনেশ্বর আবার বলেন, ‘‘প্রথম দিকে আমরা এই উইকেট পেয়েও ভাল বল করতে পারিনি। তবে বোলিং শুধরে নিয়ে শেষে ভাল বোলিং করেছি। প্রথম দু’দিনের চেয়ে তৃতীয় দিন উইকেট অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। তার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই একটু সময় লেগে যায় আমাদের। সেজন্যই ওরা রানটা বাড়িয়ে নেয়।’’

শেষ দিনে ভারত ম্যাচকে ফয়সালার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে কি না, জিজ্ঞেস করায় ভুবি বলেন, ‘‘এটা নির্ভর করছে টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। তাঁরা কী ভাবছেন, তা এখনও আমি জানি না। দল যে ভাবে ম্যাচটা শেষ করতে চাইবে। তবে কালকের প্রথম সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE