উৎসব: সেমিফাইনালে ওঠার পরে উছ্বাস স্পেনের। ছবি: এএফপি
ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন তারা। বিশ্ব তাদের চেনে তিকি তাকার দল হিসেবে।
সেই সুনাম ধরে রাখল স্পেন। টুর্নামেন্টের আগে যাদের অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছিল, তারা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে দারুণ খেলতে থাকা ইরানকে ৩-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল। শেষ চারে ব্লকবাস্টার ম্যাচও ঠিক হয়ে গেল। স্পেন বনাম মালি। রবিবার কোচিতে স্পেন প্রায় দাঁড়াতেই দিল না টুর্নামেন্টের জায়ান্ট কিলার ইরানকে। কে বলবে কয়েক দিন আগে এই ইরানই চার গোলে জার্মানিকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল। কোচিতে সেই ইরানকেই দুমড়ে দিয়ে একপেশে ম্যাচ করে দিল স্পেন। জাভি, ইনিয়েস্তাদের দেশের ছোটদের ওয়ান-টাচ পাসিং গেম মুগ্ধ করে দিয়ে গেল ফুটবল ভক্তদের।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধ নিয়ে কলকাতা ছাড়লেন গুস্তাভোরা
ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় স্পেনের সব চেয়ে প্রতিশ্রুতিমান আবেল রুইজ এগিয়ে দেয় দলকে। ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল সের্জিও গোমেজের। ৬৭ মিনিটে ফেরান তোরহেস তৃতীয় গোলটি করে। ৬৯ মিনিটে ইরানের একমাত্র গোলটি করে সইদ করিমি। এই নিয়ে ন’বারের মধ্যে ষষ্ঠ বার সেমিফাইনালে খেলছে ফ্রান্স। তবে বড়দের বিশ্বকাপ জিতলেও অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি তারা। ১৯৯১, ২০০৩, ২০০৭— এই তিন বার তারা রানার্স হয়েছে। তৃতীয় হিসেবে শেষ করেছে ১৯৯৭ এবং ২০০৯ সালে।
তবে বড়দের মতোই তাদের সেই বিখ্যাত ‘পজেশন ফুটবল’ কোচিতে এ দিন দেখিয়ে গেল স্পেনের খুদেরা। সব মিলিয়ে তাদের গোলে শটের সংখ্যা ছিল সাতটি। সেখানে ইরান সেভাবে কোনও শটই নিতে পারেনি গোল লক্ষ্য করে। ইরানের গোলকিপার আলি গোলাম জাদে যদি রক্ষাকর্তা হয়ে না দাঁড়াত, আরও অনেক বেশি গোলে হারতে পারত তারা। পাসিং ফুটবলেই বাজিমাত করে গেল স্পেন।
সেমিফাইনালে:
ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ড (২৫ অক্টোবর, ৫টা)।
স্পেন বনাম মালি (২৫ অক্টোবর, ৮টা)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy