Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sports News

অসুস্থ বক্সারের পাশে ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন

কাউর সিংহ ভারতের একমাত্র বক্সার যিনি মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে রিংয়ে নেমেছিলেন আর তাঁকে কঠিন লড়াই দিয়েছিলেন। সেটা ১৯৮০ সালে নয়াদিল্লিতে হওয়া এক প্রদর্শনী ম্যাচের ঘটনা। এই কাউর সিংহই ১৯৮২তে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতেন।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:২৭
Share: Save:

কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ক্রীড়াবিদদের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর দাবি ছিল অনেক খেলোয়াড় অবসরের পর টাকার অভাবে সমস্যায় পড়েন। সেই সব ক্রীড়াবিদ যাঁদের আন্তর্জাতিক পদক রয়েছে তাঁদেরকে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিমে যুক্ত করা হোক। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এক ক্রীড়াবিদের পাশে দাঁড়াল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতর।

৬৯ বছরের প্রাক্তন বক্সারের চিকিৎসায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হল ন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে। কাউর সিংহ তাঁর চিকিৎসার জন্য এক প্রাইভেট ফিনান্স সংস্থার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা শোধ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল প্রাক্তন এই বক্সারের। সেই খবর ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের কাছে পৌঁছতেই ব্যবস্থা নিলেন তিনি। ন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে সেই টাকা শোধ দেওয়ার ব্যবস্থা করার সঙ্গে পরবর্তী সময়ের চিকিৎসাতেও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটাও দেখা হয়েছে।

কাউর সিংহ ভারতের একমাত্র বক্সার যিনি মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে রিংয়ে নেমেছিলেন আর তাঁকে কঠিন লড়াই দিয়েছিলেন। সেটা ১৯৮০ সালে নয়াদিল্লিতে হওয়া এক প্রদর্শনী ম্যাচের ঘটনা। এই কাউর সিংহই ১৯৮২তে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতেন। সেই বছরই অর্জুন পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৩তে পদ্মশ্রীও পান। ১৯৮৪-এর অলিম্পিকে অংশ নিয়ে অবসর নেন তিনি। এর পর ফিরে যান পঞ্জাবে নিজের গ্রামে। অবসর নেন আর্মির চাকরি থেকেও। ১৯৭১এ ২৩ বছর বয়সে এই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১এ ভারত-পাক যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন সেখানে। চারবারের ন্যাশনাল বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। ছ’টি আন্তর্জাতিক সোনার পদকজয়ী অসময়ে কোনও সাহায্য পাননি।

আরও পড়ুন

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন সচিন

কাউর সিংহ বলেন, ‘‘দু’বছর আগে আমি ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। না খেয়ে সেই টাকা শোধ করতে হয়েছিল। ৫০ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছিল সুদ হিসেবে। সেই টাকাটা শোধ করতে পারিনি। কী ভাবে করব জানি না।’’ পঞ্জাব সরকারের তরফে কিছু পেনশন পান তিনি। যেখানে কোচ হিসেবে কাজ করেন কাউর। আর্মির পেনশনও খুব কম। যা দিয়ে সবটা হয়ে উঠছিল না। তবে দেড়ি হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারি সাহায্য পেলেন তিনি। বলেন, ‘‘আমার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে না। ডাক্তার বলেছে, বক্সিংয়ের সময় যে চোট পেয়েছিলাম সেগুলোর প্রভাবে এমনটা হচ্ছে।’’

ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের টুইট

ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের টুইট & आपने का सर ऊँचा रखा आज आपका सर झुकने नहीं देगा! ₹ ' (_)

ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের টুইট (_)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE