চাণক্য: স্টিভ কপেল এবং শেরিংহ্যাম। রবিবার। ছবি: আইএসএল।
তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি। অথচ তাঁর হৃদয় জুড়ে এখন শুধুই ম্যাঞ্চেস্টার সিটি! তিনি— স্টিভন জেমস কপেল।
ম্যান ইউনাইটেডে ১৯৭৭ থেকে টানা আট বছর খেলেছেন কপেল। অবসর নেওয়ার পরে ১৯৯৬ সালে ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ম্যান সিটি-তে। যদিও মাত্র ছ’টি ম্যাচের পরেই বরখাস্ত হন তিনি। ৩৩ দিন ছিলেন দায়িত্বে। ম্যান সিটি-র ইতিহাসে তিনিই সব চেয়ে কম সময়ের ম্যানেজার। তা সত্ত্বেও হৃদয়ে সের্জিও আগুয়েরো-দের ক্লাব?
রবিবার রাজারহাটের এক পাঁচতারা হেটেলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের বিশেষ অনুষ্ঠানে জামশেদপুর থেকে যোগ দিতে এসে আনন্দবাজার-কে কপেল বললেন, ‘‘পেপ গুয়ার্দিওলা অসাধারণ। ওর জন্যই ম্যান সিটি-র খেলায় আমি মুগ্ধ।’’ কপেলের মতে এই মুহূর্তে সব কোচই চান পেপ-কে অনুসরণ করতে। বললেন, ‘‘গত সপ্তাহে টিভিতে ম্যান সিটি বনাম আর্সেনাল ম্যাচটা দেখেছিলাম। দুর্ধর্ষ ফুটবল। দর্শকরা এই ধরনের খেলা দেখতেই মাঠে আসে। এই মুহূর্তে সব কোচেরই লক্ষ্য পেপ-কে নকল করা। ওর স্ট্র্যাটেজিতে নিজেদের দলকে খেলানো। কিন্তু তা সম্ভব নয়।’’ কেন? ম্যান ইউনাইটেড কিংবদন্তির ব্যাখ্যা, ‘‘পেপ শুধু দুর্ধর্ষ নয়, অননুকরণীয়। সব চেয়ে বড় কথা নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে ক্লাবের দারুণ সহযোগিতা পেয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ফুটবলেও ‘বিরাট’ চান দিল্লি কোচ
জোসে মোরিনহোর কোচিংয়ে এই মরসুমে ম্যান ইউনাইটেডের খেলা যে ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেছে, তা মেনে নিয়েছেন কপেল। তবে তিনি এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন। বললেন, ‘‘বিশ্বফুটবলে মোরিনহোর পরিচয় সফল ম্যানেজার হিসেবে। সুন্দর ফুটবল উপহার দেওয়ার জন্য নয়। ট্রফি জেতার জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোরিনহোকে। পর্তুগাল, ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড সব দেশেই ও সফল। তার কারণ মোরিনহো বাস্তববাদী। পরিস্থিতি অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজি
তৈরি করে।’’
১১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে এই মুহূর্তে ম্যান সিটি। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যান ইউনাইটেড। ব্যবধান আট পয়েন্টের। কপেল কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘ম্যান ইউনাইটেডের খেলায় আগের মতো আকর্ষণ হয়তো নেই। দর্শকরা খেলা আনন্দ পাচ্ছেন না। তা সত্ত্বেও ওরা গত মরসুমে তিনটে ট্রফি জিতেছে (ইউরোপা লিগ, এফএ কাপ ও এএফএল কাপ)। ইপিএলে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। এখনই ভবিষ্যদ্বাণী করা উচিত নয়।’’
আসন্ন আইএসএলে খেতাবের দৌড়ে কোন কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে তা নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করতে আপত্তি রয়েছে কপেলের। গত বছর তিনি ছিলেন কেরল ব্লাস্টার্স এফসি-তে। ফাইনালে এটিকে-র বিরুদ্ধে হেরে রানার্স হয় তাঁর দল। এই মরসুমে জামশেদপুর এফসি-র দায়িত্বে কপেল। ১৮ নভেম্বর গুয়াহাটিতে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ। কপেল বললেন, ‘‘প্রত্যেকটা দলেরই সমান সুযোগ রয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’’ তবে জামশেদপুর কোচ হতাশ আইএসএলের ড্রাফ্টিং নিয়ে। কপেল বললেন, ‘‘আমাদের তালিকায় এক ডজন ফুটবলারের নাম ছিল। কিন্তু ড্রাফ্টিংয়ের কারণে তিন-চার জনের বেশি পছন্দের ফুটবলার নিতে পারিনি। যা অত্যন্ত হতাশাজনক। আশা করছি, আগামী বছর ড্রাফ্টিং থাকবে না। নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ফুটবলার নিতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy