Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সুপার কাপ নিয়ে দুই প্রধানের তোপ

মার্চের শুরুতে আই লিগ শেষ করার পরে, আমাদের গোটা দল সুপারকাপ খেলার জন্য বসে থাকবে এক মাস। সেখানে প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেই বিদায়।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮
Share: Save:

অবশেষে যাবতীয় জল্পনার অবসান। সোমবার নয়াদিল্লির ফুটবল হাউসে এআইএফএফ লিগ কমিটির বৈঠকের পরে জানিয়ে দেওয়া হল, চলতি বছরে সুপার কাপ অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল। তার আগে হবে টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব। যা ১২ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তবে মূল পর্বের প্রতিযোগিতা কোথায় হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রাথমিক ভাবে দু’টি জায়গাকে বাছা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কটক ও কোচি।

রাজধানীর ফুটবল হাউসে এ দিন ফেডারেশনের লিগ কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এবং ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত, ফেডারেশন সচিব কুশল দাস, আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর, আইএমজি-আর প্রতিনিধি চিরাগ তান্না-সহ ফেডারেশনের প্রথম সারির কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের আলোচনার পরেই ঠিক হয়, নটআউট পর্বের এই টুর্নামেন্টে আই লিগ ও আইএসএল-এর প্রথম ছ’টি দল সরাসরি খেলবে। দুই লিগেরই বাকি চারটি করে দল বাছাই পর্বে প্লে অফ ম্যাচ খেলে পূরণ করবে টুর্নামেন্টের বাকি চার দলের স্থান। তবে ১৬ দলের এই নকআউট টুর্নামেন্টে কতজন বিদেশি ফুটবলার একটি দল খেলাতে পারবে, তা এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘‘দলগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ এ দিকে, সুপার কাপের রূপরেখা চূড়ান্ত হওয়ার দিনেই কলকাতার দুই প্রধানের তোপের মুখে ফেডারেশনের লিগ কমিটি। মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট হবে লিগ কাম নকআউট ভিত্তিতে। কিন্তু সে কথা রাখা হল না। মার্চের শুরুতে আই লিগ শেষ করার পরে, আমাদের গোটা দল সুপারকাপ খেলার জন্য বসে থাকবে এক মাস। সেখানে প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেই বিদায়।’’

ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও বলছেন, ‘‘গত বছর কলকাতার দুই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় ফেডারেশন সচিব কুশল দাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই টুর্নামেন্ট লিগ কাম নক আউট হবে। ফেডারেশন সে কথা না রাখায় আমরা মর্মাহত। এক্ষেত্রে একটা ক্লাব তো চারটে ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। এর চেয়ে ফেডারেশন কাপ-ই ভাল ছিল।’’

দুই প্রধানের আক্রমণের তির যাঁর দিকে সেই ফেডারেশন সচিব কুশল দাসকে ফোন করা হলে তা বেজেই গিয়েছে। তিনি উত্তর দেননি। তবে ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বৈঠকে আইএমজি-আর প্রতিনিধি সম্প্রচার সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্ট-ফর্ম্যাটের এই প্রস্তাব পেশ করলে তা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে মেনে নেন সভায় উপস্থিত সদস্যরা।

এ দিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ নিয়েও। ১৮ টি দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে হোম ও অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে হবে বাছাই পর্ব। প্রত্যেক গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল অংশ নেবে মূল পর্বে। প্রত্যেক দল তিন জন করে বিদেশি ফুটবলার খেলাতে পারবে। যার মধ্যে একজনকে এশীয় কোটায় হতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE