উৎসাহ: স্টেডিয়ামে টিকিট নিতে ভিড়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
ডার্বির টিকিটের জন্য মাঠের বাইরে দুই প্রধানের লড়াই জমে উঠল শিলিগুড়িতে। স্থানীয় সমর্থকদের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজার থেকেও বুধবার প্রথম দিন টিকিট নিতে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়ান দুই দলের সমর্থকেরা। প্রথম দিনই এক হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এ দিন কাউন্টার খোলার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ৫০ হাজার টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
আট ম্যাচ খেলে দুই প্রধানেরই ২২ পয়েন্ট করে থাকায় ২৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচই লিগের নির্ণায়ক ম্যাচ হতে চলেছে। সমর্থকদের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব তাই বেশি। স্টেডিয়ামে দু’দলের সমর্থকদের ভিড় জমবে বলেই কর্মকর্তারা অনেকটাই নিশ্চিত। এমনকী এ দিন পর্যন্ত তারা কোনও প্রচারই করেননি। শহরে কোনও হোর্ডিং নেই। বৃহস্পতিবার থেকে তারা অটোতে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করলেও ম্যাচ নিয়ে আরও কোনও প্রচার থাকছে না।
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও রকম প্রচার ছাড়াই যেভাবে টিকিট বিক্রি শুরু হল তা ভাল দিক। প্রচার শুরু হলে এবং ম্যাচ যত এগিয়ে আসবে ভিড় ততই বাড়বে বলেই আশাবাদী।’’ ১০০ এবং ১৫০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে কাউন্টারে।
সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারের সামনে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সৌরভ প্রামাণিক, সম্পদ রায়দের মতো সমর্থকেরা। কাউন্টারেরে কাছে স্টেডিয়ামের উপরে গোটা তিনেক লাল, হলুদের ঢাউস পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ‘লাল-হলুদ, বুকে বারুদ’ স্লোগান। ডার্বিতে তারা ৫ গোলে জিতবে বলে দাবি করেন।
মোহনবাগান গ্যালারির লাইনে ভিড় ছিল তুলনায় কম। নর্থবেঙ্গল মেরিনার্স নাম দিয়ে এক দল সমর্থকও প্রচারে নেমেছেন প্রিয় দলের। ম্যাচের দিন যতই এগোবে তাদের হুল্লোড় ততই বাড়বে বলে জানান তাঁরা। শক্তি পালের মতো মোহন সমর্থকেরা জানান, টিকিটের কী পরিস্থিতি হবে বুঝতে পারছিল না। তাই এদিন ভোর বেলাতেই এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল- টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ম্যাচের দেখে ফেরার পথে একদল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের মোহনবাগান তাঁবুতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ডার্বিতে মোহন সমর্থকদের আসার জন্য অভয় দিতে নর্থবেঙ্গল মেরিনার্স প্রচার চালাচ্ছে। ওই সংগঠনের অন্যতম প্রভাস বাগচীর কথায়, ‘‘নির্ভয়ে আমাদের সমর্থকদের মাঠে আসতে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গেও আমরা প্রয়োজনে কথা বলব।’’ বুম্বা সরকার, সৌরভ প্রমাণিকদের মতো লাল হলুদের সমর্থকেরাও ওই ঘটনাকে সমর্থন করছেন না বলে সাফ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘ওই ঘটনাকে আমরাও নিন্দা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy