এএফপি-র তোলা ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গোটা সফরেই ভারতীয় দলের মেজাজটা শেষ ম্যাচেও পাল্টাচ্ছে না। কেপ টাউনে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ভারতীয় দলের মন্ত্র একটাই— আগ্রাসী খেলা।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে এ কথাই জানালেন সুরেশ রায়না। ভারতীয় ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘আক্রমণ করাটা জরুরি। শেষ দুটো টি-টোয়েন্টিতে আমরা প্রথম ছ’ওভারে দাপট দেখিয়েছি। তাই এই ম্যাচেও প্রথম ছ’ওভারে আক্রমণাত্মক থাকাটা খুব জরুরি।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘প্রথম ছ’ওভারে আগ্রাসী খেলার লক্ষ্য নিয়ে নামলে শট খেলতেই হবে। কখনও রান আসবে, কখনও আসবে না, তবে আমার মনে হয় ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে মিডল অর্ডারে সেই গভীরতাটা থাকলে প্রথম ছ’ওভারে আগ্রাসী খেলাটা খুব প্রয়োজন। সেটা রান তাড়া করতে গিয়ে হোক বা প্রথমে ব্যাট করার সময় বড় রান করতে গিয়ে।’’
ওয়ান ডে সিরিজ জেতার পরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেও সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হারে সেই ছন্দটা নষ্ট হয়েছে। সেটা সফরের শেষ ম্যাচে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতীয় দল যে মরিয়া সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। রায়না বলেছেন, ‘‘আমরা টিম মিটিংয়েও এ ব্যাপারে কথা বলেছি। যখন সিরিজের প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমরা দারুণ খেলেছি, তখন শেষটাও দুরন্ত করতেই হবে। বিরাট এরকমই। ও কখনও কোনও জিনিস হাল্কা ভাবে নেয় না। তার উপরে এমএস (ধোনি) এবং রবি ভাই (শাস্ত্রী) তো আছেই। ওরাও ক্রিকেটারদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিচ্ছে।’’
একটা হারে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ পাল্টে না গিয়ে বরং সফরটা দুর্দান্ত ভাবে শেষ করতে যে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সেটা রায়নার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে। যে লক্ষ্যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিরাট কোহালি। ‘‘বিরাট দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে ভাল খেলেছি। ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা হল, আমরা সবাই এই সাফল্য উপভোগ করছি। প্রত্যেকে নিজের মতামত রবি ভাইকে জানাচ্ছে,’’ বলেন রায়না।
শুধু নিজেদের আত্মবিশ্বাসই নয় পাশাপাশি প্রতিপক্ষের ক্ষমতা নিয়েও যে ভারতীয় দল সতর্ক তার আভাস পাওয়া গিয়েছে রায়নার কথায়। ‘‘ওরা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটাই ভাল খেলেছে। দারুণ ব্যাট করেছে। জেপি ডুমিনি যে রকম দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে তেমনই হেনরিক ক্লাসেন যে লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল তাতে সফল হয়েছে। আমার মনে হয় শিশির খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিল ওই ম্যাচটায়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এই মাঠে গড়ে ১৫০ রান ওঠে। আমাদের আগে দেখতে হবে উইকেটটা। তার পরে আমরা পরিকল্পনা ঠিক করব। একটা ব্যাপার ঠিক হয়ে রয়েছে, আমাদের প্রথম ছ’ওভারে দারুণ ব্যাটিং করতে হবে, সঙ্গে বোলিং আর ফিল্ডিংও। এই ম্যাচেও সামনে যে সুযোগই আসুক সেটার সদ্ব্যাবহার করাই আমাদের লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy