ম্যাচ জিতে ড্রেসিংরুমে বিজয়োৎসবে মাতলেন মেসি
মাঠের মধ্যে তাঁর হ্যাটট্রিককে ‘ঐশ্বরিক’ আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে। আর প্রানান্তকর চাপের মুখে আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার পরে মাঠের বাইরে মেসি যা করলেন, তা আরও অভিনব।
ড্রেসিংরুমে ফিরে সতীর্থদের সঙ্গে রীতিমতো উদ্দাম বিজয়োৎসবে মাতলেন মেসি। খালি গায়ে তাঁর নাচের ছবি এবং ভিডিও ইনস্টাগ্রামে দিয়ে দেন সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানো। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জগতে।
এতটাই খুশি তিনি যে, নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা না বলার ব্রতও ভেঙে ফেলেছেন। গত এক বছর ধরে দেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন না আর্জেন্তিনার কোনও ফুটবলার। টানা সমালোচনার প্রতিবাদেই এই কট্টর অবস্থান নিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: প্রতি মাসের প্রথম বুধবার মালি দলের ড্রয়িংরুমে হাজির বলিউড
৯ হাজার ফিট উঁচুতে অবস্থিত ইকুয়েডরের কাঁটা উপড়ে স্বপ্নের হ্যাটট্রিকের রাতে মুখ খুললেন মেসি। বললেন, ‘‘আর্জেন্তিনা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে অবিশ্বাস্য ঘটনা হতো। আমরা যে উদ্বিগ্ন হইনি, তা নয়। অবশ্যই মাথার মধ্যে সেই চিন্তা ঘুরছিল। শেষ পর্যন্ত যে আমরা পেরেছি, সেটাই আসল।’’ আরও বলে চললেন, ‘‘কোয়ালিফাইং রাউন্ডে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হল, সেটা আমাদের প্রাপ্য নয়। কিন্তু শেষ ম্যাচটায় আমরা দেখিয়েছি, আমরা খেলতে জানি।’’
গোটা দুনিয়া উত্তাল তাঁর এই পারফরম্যান্স নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতমতো ঈশ্বর-বন্দনার মতো চলছে। কেউ ফটোশপ করে ছবি দিচ্ছেন, সতীর্থরা মেসির কাঁধে চেপে সমুদ্র পার হচ্ছেন। কেউ ছবি দিয়েছেন, ‘যিশু’-র মতো মেসিকে সাজিয়ে তুলে। একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে কোনও ফুটবলারকে নিয়ে এমন আবেগ বর্ষণ নজিরবিহীন। তা-ও আবার ম্যাচটি বিশ্বকাপেরও নয়, বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিক্রিয়াই বলে দিচ্ছে, রাশিয়ায় মেসিহীন বিশ্বকাপ দেখতে হচ্ছে না জেনে কতটা স্বস্তিতে সকলে। স্বস্তিতে তিনি, মেসিও। বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, কোয়ালিফাই করে যাওয়ার পর আমাদের দলটাই পাল্টে যাবে। অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে আমরা বিশ্বকাপে খেলতে নামব। সকলে হাতে হাত মিলিয়ে লড়তে হবে, টিম হিসেবে খেলতে হবে। আমরা বিশ্বকাপের বাইরে থাকতে পারি না কারণ আর্জেন্তিনার সেটা প্রাপ্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy