নায়ক: ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল করে হাসান আলি। নিজস্ব চিত্র
বড়দের ডার্বির এখনও তিন দিন বাকি। তার আগেই ছোটদের ডার্বিতে চমকপ্রদ জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান মাঠে গিয়েই তাদের হারিয়ে এল সুজিত চক্রবর্তীর দল। প্রথমার্ধের দশ মিনিটে একমাত্র গোলটি করে হাসান আলি মোল্লা। তাকে বল বাড়িয়েছিল অমিত দেবনাথ। অমিত নিজেও একটি গোল নষ্ট করে। এই ম্যাচটি জিতে যাওয়ায় পরের পর্বে গেল লাল-হলুদ। ১০ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২৩। তাদের মূলপর্ব খেলতে যেতে হবে গোয়ায়। খেলা শুরু ৩০ জানুয়ারি। কোচ সুজিত বলছিলেন, ‘‘প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। তবে কারা কোথা থেকে উঠছে সেটা নজর রাখছি।’’
বুধবার যুব আই লিগের এই ম্যাচটি ঘিরে উত্তেজনা ছিল ময়দানে। কারণ, কলকাতা পর্ব থেকে পরের পর্বে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচটা জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। মোহনবাগানের দরকার ছিল এক পয়েন্ট অর্থাৎ ড্র। সেই ম্যাচ জিতে যাওয়ার পর তাই উচ্ছ্বাসে ভাসতে থাকে হাসানের সতীর্থরা। নিজেদের মাঠে গোল করেও ডার্বি জেতাতে পারেনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঘটকপুকুরের ছেলে হাসান আলি। বলছিল, ‘‘কোচ আমাদের বলেছিলেন গতবার জিততে পারিনি এ বার জিততে হবেই। গোলও করতে হবে। না হলে পরের পর্বে যাওয়া যাবে না। সেটা করে তাই ভাল লাগছে।’’
ইস্টবেঙ্গলের এ বারের টিমে হাসানই সর্বোচ্চ গোলদাতা। দেশে প্রিয় ফুটবলার সুনীল ছেত্রী। ঘটকপুরের বাজারে তাঁর বাবার দুটি দোকান আছে। তিন বছর আগে বাংলার অনূর্ধ্ব-১৪ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জাতীয় ফুটবলে। সেই দলে ছিল হাসান। দাবি করল, ৯ ম্যাচে ৮ গোল করেছে সে। ঘটকপুকুর বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র হাসান ছিল জাতীয় শিবিরেও। একসময় বড়দের কোচিং করানো সুজিত অবশ্য ডার্বি জিতে উচ্ছ্বসিত নন। বলছিলেন, ‘‘গোলটা করার পরে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। তবে আমাদের রক্ষণ দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে সৌরভ ভগত এবং চন্দন ওঁরাও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy