শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে যুবরাজ সিংহ এবং সুরেশ রায়নার সুযোগ না পাওয়ার পিছনে উঠে আসছে তাঁদের ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কাহিনি।
জানা গিয়েছে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে হওয়া ‘ইয়ো-ইয়ো’ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন দু’জনে। এটা এক ধরনের শারীরিক সহ্য ক্ষমতার পরীক্ষা। যে পরীক্ষাটা এই দুই ক্রিকেটারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই পরীক্ষা ‘বিপ টেস্ট’-এরও এক উন্নতমানের সংস্করণ। এই পরীক্ষায় পাশ মার্ক ধরা হয় অন্তত ১৯.৫ স্কোর। জানা গিয়েছে, যুবরাজ এবং রায়না এর অনেক কম স্কোর করেছেন। যুবরাজ কোনও মতে ১৬ ছুঁয়েছেন। দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার, বিরাট কোহালির স্কোর ২১।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দল সবচেয়ে জোর দিয়েছে ফিটনেসের ওপর। এক বোর্ডকর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘এই টিমের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক— কোচ রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহালি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, কোনও ভাবেই ফিটনেস নিয়ে সমঝোতা করা যাবে না। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারেরা গড়ে ২১ স্কোর করে। আমাদের কোহালি, রবীন্দ্র জাডেজা, মণীশ পাণ্ডেরা নিয়মিত এই স্কোর করে। বাকিরা ১৯.৫-এর ওপরেই থাকে।’’
আরও পড়ুন: ‘সফল হয়েছি পরিশ্রম করে’
এই ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষাটা কী? ২০ মিটারের তফাতে ‘কোন’ দিয়ে দু’টো লাইন করা হয়। একটা লাইনের পিছন থেকে দৌড় শুরু করেন খেলোয়াড়রা। এই দু’টো লাইনের মধ্যে দৌড়তে থাকেন তাঁরা। যখন ‘বিপ’ শব্দ হয়, তখন ঘুরতে হয়। প্রতি মিনিটে দৌড়ের গতি বেড়ে যায়।
এর আগে ক্রিকেটারদের জন্য বিপ টেস্টের ব্যবস্থা থাকত। যেখানে নব্বইয়ের দশকের গড়পরতা ভারতীয় ক্রিকেটারেরা ১৬-১৬.৫ স্কোর করত। ব্যতিক্রম ছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। এখন সে সব দিন বদলে গিয়েছে। ফিটনেস এখন নতুন মন্ত্র হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। অস্ট্রেলিয়া টিমের মতো অধুনা ভারতীয় ক্রিকেটারেরাও ভাল স্কোর করছেন। আর ভারত অধিনায়ক কোহালি তো সবার আগে রয়েছেন এই ব্যাপারে। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দল যে রোডম্যাপ করেছে, তাতে ফিটনেস বিরাট গুরুত্ব পাচ্ছে। যেমন পাচ্ছে ফিল্ডিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy