আপাতত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকছেন অধীর চৌধুরী। সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার বিধান ভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। ছিল আড়ম্বরও। তা এড়ালেন কংগ্রেসের অনেক নেতাই।
অধীরকে অভিনন্দন জানাতে ফুল, মালা নিয়ে কর্মীরা এসেছিলেন। অনুষ্ঠানের পরে দলের সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের নিয়ে বসার কথা ছিল অধীরের। কিন্তু তাঁর ডাকে সাড়া না দিয়ে গরহাজির থাকলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। দলীয় এক কর্মসূচিতে তিনি ব্যস্ত ছিলেন জলপাইগুড়িতে। দলীয় সাংসদদের মধ্যে মৌসম বেনজির নূর ছাড়া আর কেউই ছিলেন না বৈঠকে। প্রদীপ ভট্টাচার্য বা আবু হাসেম খান চৌধুরীর মতো বর্ষীয়ান সাংসদ এমনকী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিও চর্চা হয়েছে কংগ্রেস অন্দরে। দলের বর্ষীয়ান অন্য দুই নেতা সোমেন মিত্র, দীপা দাশমুন্সিও নিজের নিজের কাজে কলকাতার বাইরে ছিলেন। কেন যাননি, প্রশ্ন শুনে সোমেনবাবু বললেন, ‘‘অধীর যেতে বলেছিল। কিন্তু আমি তো কলকাতার বাইরে ছিলাম। কয়েক দিন আগে প্রদীপদার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বলেছিলেন উনি বাংলাদেশে থাকবেন। আর দীপাও দিল্লিতে রয়েছেন বলে জানি।’’
দুপুর থেকে দীর্ঘক্ষণ অধীর বিধান ভবনে থাকলেও কংগ্রেসের চেনা এবং পুরনো নেতাদের প্রায় কাউকেই এ দিন দেখা যায়নি। কয়েক জন জেলা সভাপতির পাশাপাশি অধীর ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরাই শুধু ছিলেন ওই বৈঠকে। তাঁদের উপস্থিতিতেই অধীর বোঝানোর চেষ্টা করেন, জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সুদিন দ্রুত ফিরবে। ফলে মন দিয়ে প্রত্যেককে নিজের নিজের এলাকায় সংগঠন বাড়াতে হবে। আসন্ন প়ঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস একলা চলবে, তা ধরে নিয়েই দলকে উজ্জীবিত রাখার জন্য পরামর্শ দেন অধীর। প়ঞ্চায়েতে যত বেশি সম্ভব আসনে প্রার্থী দিতে নির্দেশ দিয়েছেন অধীর। মার্চের মধ্যে রাজ্যস্তরের পঞ্চায়েতি-রাজ সম্মেলনও সেরে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি।
অধীরের সভাপতিত্বের মেয়াদ বাড়ায় দিন কয়েক আগেও বিধান ভবনে কর্মীরা হুল্লোড় করেছে। বাজি পুড়িয়েছে। কিন্তু নোয়াপাড়া বা উলুবেড়িয়ার উপনির্বাচনের প্রচারের প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চবাচ্য কেউ করেননি। আগামী ২৯ জানুয়ারি এই দুই কেন্দ্রে ভোট। ফলে একেবারে শেষলগ্নে দলকে প্রচারে নামাতে তৎপর হলেন অধীর। তিনি আগামী ১৯, ২০ এবং ২৫ জানুয়ারি নোয়াপাড়ায় সভা করবেন। ২০ এবং ২৪ জানুয়ারি উলুবেড়িয়ায় যাবেন অধীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy