Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আচার্যকে খেতাব ফিরিয়ে মঞ্চেই কলরব

তিনি জানতেন, সমাবর্তন বয়কটের সিদ্ধান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ অনড়। উপাচার্য অপসারণের দাবিতে তাঁদের লাগাতার আন্দোলনের কথাও অজানা নয় আচার্য-রাজ্যপাল কেশনীরাথ ত্রিপাঠীর। সে আন্দোলনের সমালোচনাও তিনি করেছেন। কিন্তু সম্ভবত স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে, খাস সমাবর্তনের মঞ্চে উঠে কোনও পড়ুয়া তাঁরই এগিয়ে দেওয়া মেডেল ও শংসাপত্র ফিরিয়ে দেবেন! বুধবার যাদবপুরের সমাবর্তনে সেটাই হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৭
Share: Save:

তিনি জানতেন, সমাবর্তন বয়কটের সিদ্ধান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ অনড়। উপাচার্য অপসারণের দাবিতে তাঁদের লাগাতার আন্দোলনের কথাও অজানা নয় আচার্য-রাজ্যপাল কেশনীরাথ ত্রিপাঠীর। সে আন্দোলনের সমালোচনাও তিনি করেছেন। কিন্তু সম্ভবত স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে, খাস সমাবর্তনের মঞ্চে উঠে কোনও পড়ুয়া তাঁরই এগিয়ে দেওয়া মেডেল ও শংসাপত্র ফিরিয়ে দেবেন!

বুধবার যাদবপুরের সমাবর্তনে সেটাই হল।

এ দিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনের সমাপ্তি ও বার্ষিক সমাবর্তনের সূচনা করেন রাজ্যপাল। প্রথমে কলা শাখার শ্রেষ্ঠ স্নাতক গীতশ্রী সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়। মঞ্চে উঠে করজোড়ে গীতশ্রী জানান, তিনি শংসাপত্র ও মেডেল নেবেন না। আচার্যকে তিনি এ-ও বলেন, উপাচার্য অভিজিত্‌ চক্রবর্তীর বিরোধিতা করতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। “রাজ্যপাল আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, শংসাপত্র নেব কি না। নেব না বলায় উনি আঙুল উঁচিয়ে অত্যন্ত বিচ্ছিরি ভাবে আমাকে চলে যেতে বললেন।”— পরে জানান ওই ছাত্রী।

প্রতিবাদের তিন ছবি

‘শ্রেষ্ঠ স্নাতক’ সম্মান নেওয়ার ডাক পেয়ে মঞ্চে উঠে গীতশ্রী সরকার আচার্য-রাজ্যপালকে জানালেন, শংসাপত্র নিতে তিনি অপারগ।
(মাঝে) ছাত্রীর মুখে এই কথা শুনে বিস্মিত রাজ্যপাল। (ডান দিকে) গীতশ্রীকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলছেন তিনি। ছবি: রণজিত্‌ নন্দী

গীতশ্রী যাদবপুরের কলা শাখার ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকও বটে। এবং তাঁর আরও অভিযোগ, মঞ্চ থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায় এক শিক্ষক তাঁকে হাত ধরে বার করে দিয়েছেন। ওঁর কথায়, “তিন বছর কঠোর পরিশ্রম করে গ্র্যাজুয়েট হয়েছি। এই সার্টিফিকেট আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্তু আরও বড় স্বপ্ন আছে, আর শিরদাঁড়াটা শক্ত আছে।” বস্তুত ‘প্রবল শক্তিশালী’ শাসকের মুখের উপরে ‘না’ বলতে পারাটাই তাঁর সেরা শংসাপত্র বলে মত ওই ছাত্রীর।

প্রতিবাদ এখানেই শেষ নয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও এ দিন সকাল থেকে সমাবর্তনস্থলের বাইরে পড়ুয়াদের একাংশ হাততালির সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষকদের একটা বড় অংশ অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন। অনুষ্ঠানমঞ্চের কাপড়ের দেওয়াল উপাচার্যের পদত্যাগ-দাবির স্লোগান লিখে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলো ফাঁকা থাকায় অতিথিদের নজর গিয়েছে সে দিকে। তার চেয়েও দৃষ্টিকটু ঠেকেছে অনুষ্ঠানের মাঝপথে আচার্যের সঙ্গে উপাচার্যের বিদায়। সমাবর্তনের বাকি সময়টা উপাচার্য আর বিশ্ববিদ্যালয়েই ফেরেননি!

প্রাক্তনী ও শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বলছে, সমাবর্তন ঘিরে এমন অরাজক অবস্থা আগে কখনও যাদবপুর দেখেনি। এ ভাবে সমাবর্তনের সকালে আচার্যকে ঘেরাও করে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি ওঠেনি, উপাচার্যকে মাঝপথে অনুষ্ঠান ছেড়ে যেতেও দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় আচার্য কেশরীনাথ এ দিন সমাবর্তন-মঞ্চে নিজের বক্তৃতায় শিক্ষাঙ্গনের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বেশ কিছু কড়া কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, প্রত্যেকেরই নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার, যে ধারণা পাওয়া যায় শিক্ষা ও শৃঙ্খলাবোধ থেকে। বলেছেন, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন, তার মর্যাদা হানিকর আচরণ করা ছাত্রছাত্রীদের উচিত নয়। এতে তাঁদের ডিগ্রিরই দাম কমে যায়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশে কেশরীনাথের বার্তা— শিক্ষাদানের মতো পবিত্র দায়িত্ব থেকে বিচ্যুতি ঘটলে যে বিতর্কের জন্ম হয়, তাতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিতে কালির ছোপ লাগে। আচার্য চান, ছাত্র-ছাত্রীদের সংযত করার গুরু দায়িত্বও শিক্ষকেরা নিন। আর অতীতে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তা ভুলে যাওয়া ও ক্ষমা করে দেওয়াই শ্রেয়।

আচার্যের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জুটা-র সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্তের দাবি, “আমরা পড়ানো, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা— সব কাজই করছি। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার মতো কিছু করিনি। বরং উপাচার্য যা করে চলেছেন, তাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যথেষ্ট বিঘ্নিত হয়েছে।” তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোটা ঘটনাপ্রবাহে একাধারে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। তাঁর মতে, সমাবর্তনে যা হল, তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার পক্ষে একান্ত বেমানান। “শংসাপত্র প্রত্যাখ্যান অত্যন্ত পরিতাপের। ছাত্র-শিক্ষকদের আমি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁরা তাঁদের মতো চলেছেন। উপাচার্যকে বললাম, স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে সবার সঙ্গে কথা বলুন। তাতেও কিছু হল না।”— মন্তব্য করেন পার্থবাবু। সমাবর্তনে পার্থবাবু অবশ্য ছিলেন না। যাদবপুরের সমাবর্তনে মন্ত্রীদের উপস্থিতির তেমন নজিরও নেই।

এর পরে তিনি কী করবেন?

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এ ভাবে বেশি দিন চলতে দেওয়া যায় না। আমি এ বার নিজে সব পক্ষকে ডেকে কথা বলব।” কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জায়গা কোথায়? মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার থাকতেই পারে। তবে রাজ্যের সম্মান তার চেয়েও বড়।” উপাচার্য যে ভাবে মাঝপথে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেলেন, তাতে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি হয়নি? পার্থবাবুর জবাব, “এমনটা ঘটে থাকলে আমি উপাচার্যকে জিজ্ঞাসা করব।”

সমাবর্তনে কেন এমন বিশৃঙ্খলা হল, তা নিয়ে উপাচার্যের মতামত মেলেনি। বারবার ফোন করা হলেও অভিজিত্‌বাবু লাইন কেটে দিয়েছেন। জবাব দেননি এসএমএসেরও। যাদবপুরের ছাত্র-আন্দোলনের গোড়ায় বিজেপি প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়ালেও রাজ্যপালের অস্বস্তির কারণে এ দিনের কাণ্ডকে সমর্থন করছে না। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “পড়াশোনা করে না, এমন কিছু বিপথগামী পড়ুয়া এ সব করছে। কিছু শিক্ষকও যুক্ত। এমন আন্দোলন বরদাস্ত করি না।” বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও এ দিনের ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ঘটনা হল, কড়া পুলিশি নিরাপত্তা, কালো পতাকা, পড়ুয়াদের স্লোগান-বিক্ষোভ, উপাচার্যের পদত্যাগ-দাবি ও আচার্যের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়েই রাজ্যপাল কেশরীনাথ সমাবর্তন মঞ্চে ঢুকেছিলেন। শুধু তিনি কেন, বোধহয় উপস্থিত কেউই আঁচ করতে পারেননি যে, শংসাপত্র বিতরণের গোড়াতেই এমন ধাক্কা খেতে হবে। বার্ষিক সমাবর্তনের শুরুতে শ্রেষ্ঠ স্নাতক ও শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসেবে পাঁচ জনকে মেডেল, ট্রফি, শংসাপত্র দেওয়ার কথা ছিল। তাঁদের শুধু এক জন সেগুলো নিয়েছেন। গীতশ্রী মঞ্চে উঠে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাকি তিন জন আসেননি বলে জানান রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ। আচার্য, উপাচার্য বেরিয়ে গেলে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিলের শংসাপত্র দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য আশিস বর্মা। তখনও অনেকে মঞ্চে উঠে সার্টিফিকেট নিতে অস্বীকার করেন। এঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হবে?

রেজিস্ট্রারের জবাব, “এখনই কিছু বলা যাবে না।”

মঞ্চে উঠেও শংসাপত্র ফিরিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শনের নজির খুব একটা নেই। এ প্রসঙ্গে অনেকে ১৯৯২-এ দিল্লির আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‌সবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত অভিনেত্রী শাবানা আজমির কথা উল্লেখ করছেন। নাট্যকর্মী সফদর হাশমিকে খুন-সহ কিছু ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানোর জন্য শাবানা চলচ্চিত্র উত্‌সবের মঞ্চকেই বেছে নেন। মঞ্চে উঠে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ দেখেছে নকশাল আমলও। ডিগ্রির দাম নেই— এই যুক্তিতে যাদবপুরেই সার্টিফিকেট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন তদানীন্তন ছাত্র নেতা। রবীন্দ্রভারতীতেও তা-ই ঘটেছিল। এক বার তত্‌কালীন আচার্য যাদবপুরে সমাবর্তনে যোগ দিতেই যাননি।

এ বার যাদবপুরের পড়ুয়া-শিক্ষকদের সিংহভাগ আগে থেকেই সমাবর্তন বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। উপরন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র কুড়ি জন মঙ্গলবার বিকেলে অনশনে বসেন। রাতভর ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা ছিলই। কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। সকালেই বিস্তর পুলিশ মোতায়েন হয়ে যায়। তাতে অবশ্য প্রতিবাদে ভাটা পড়েনি। দেখা যায়, ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করছে কালো কাপড়ে লেখা বিবিধ স্লোগান ‘ভিসি মাস্ট রিজাইন’ কিংবা ‘লাঠির মুখে গানের সুর, দেখিয়ে দিল যাদবপুর’ ইত্যাদি। জায়গায় জায়গায় হাততালি দিয়ে ড্রাম পিটিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। ‘ভিসি-র পদত্যাগ চাই’ লেখা কালো ব্যাজ পরানো হচ্ছে, ‘হোক কলরব’ লেখা প্যামফ্লেট বিলি হচ্ছে এন্তার। কিছু পড়ুয়ার অভিযোগ, সমাবর্তনের জন্য যে ব্যাজ পরানো হয়েছে, তার কোনওটায় কোনওটায় ‘ইউনিভার্সিটি’ বানানটাই ভুল! কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, কয়েকটায় বানান ভুল হলেও হতে পারে, তবে অধিকাংশ ব্যাজে বানান ঠিক আছে।

পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে সোজা ঢুকে সমাবর্তনস্থল— ওপেন এয়ার থিয়েটার (ওএটি)। তামাম রাস্তাটা সাদা-গেরুয়া কাপড় টাঙিয়ে ফুলের গোছা দিয়ে সাজানো। তার উপরে কালো কালিতে আন্দোলনকারীরা লিখেছেন ‘বয়কট।’ কেশরীনাথের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও বিদ্যমান। ওএটি-র সাদা দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে কালো কালিতে লেখা সমাবর্তন বয়কটের ঘোষণা। যত বারই দেওয়াল রং করা হয়েছে, তত বার নতুন করে ফুটে উঠেছে বয়কট-বার্তা। এ সবের মধ্যেই আচার্য-রাজ্যপাল ওএটি’তে পৌঁছান। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। যাঁকে কেন্দ্র করে পড়ুয়া-শিক্ষকেরা বিক্ষোভে ফুঁসছেন, সেই উপাচার্য অভিজিত্‌বাবুও হাজির হলেন সমাবর্তন মঞ্চের কাছে। তাঁরই ইস্তফার স্লোগানে তখন চার দিক মুখরিত।

বেলার দিকে পড়ুয়াদের চিত্‌কার-স্লোগান পিছনে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন আচার্য। সঙ্গে বেরিয়ে যান উপাচার্যও। পরের অর্ধে সমাবর্তন পরিচালনা করেন সহ উপাচার্য।

যাদবপুরে এ হেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির শুরু ১৬ সেপ্টেম্বর, ক্যাম্পাসে পুলিশি অভিযানের জেরে। এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা খতিয়ে দেখার দাবি নিয়ে পড়ুয়ারা উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। অভিযোগ: রাতের অন্ধকারে পুলিশ ডেকে তাঁদের মারধর করা হয়। পুরো ঘটনার জন্য তদানীন্তন অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিত্‌বাবুকে দায়ী করে অপসারণের দাবি ওঠে। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ান শিক্ষকদের একাংশ। জটিলতা কাটাতে তাঁরা রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হন। তাতে কাজ হয়নি। অভিজিত্‌বাবুই স্থায়ী উপাচার্যের পদে নিযুক্ত হন। তাঁর ইস্তফার দাবিতে বিক্ষোভ জারি।

সমাবর্তনের পরতে পরতে টের পাওয়া গিয়েছে সেই ‘হোক কলরব’-এরই আঁচ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jadavpur university convocation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE