Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আলাপন ইস্যুতে কোর্টে যাচ্ছেন বিকাশ-অরুণাভ

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ চ্যালেঞ্জের মুখে। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং অরুণাভ ঘোষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৫ ১৩:১৯
Share: Save:

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ চ্যালেঞ্জের মুখে। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং অরুণাভ ঘোষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার। আলাপনবাবু নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন এই দুই দুঁদে কৌঁসুলি।

বুধবার সকালে অরুণাভ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনার পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্থায়ী নিয়োগকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করব। এই সম্পূর্ণ অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক নিয়োগ মেনে নেওয়া যায় না।’’ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও এ দিন বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করছি। এই মামলা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। যে অনৈতিক প্রক্রিয়ায় এই নিয়োগ হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।’’ নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে তুলে ধরেছেন অরুণাভ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে, সরকারের অধীনে কর্মরত কেউ নির্বাচন কমিশনার পদে বসতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনার হতে গেলে তাঁকে সরকারের অধীনস্থ পদ ছেড়ে আসতে হবে। সরকারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিবহন সচিব থাকা অবস্থাতেই যেভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অবৈধ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ধরা যাক ৭ দিনের জন্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো হল। তার মানে সাত দিন পর তিনি আর নির্বাচন কমিশনার থাকবেন না। আবার শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের সচিব হিসেবেই তাঁকে কাজ করতে হবে। সচিবদের সার্ভিস বুক মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে। সার্ভিস রেকর্ড পরিচ্ছন্ন রাখার তাগিদেই আলাপনবাবু নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী প্রধান থাকাকালীন কোনওভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অখুশি করার মতো সিদ্ধান্ত নেবেন না।’’ অরুণাভবাবু আরও বলেন, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ কোনও প্রশাসনিক পদ নয়। এটি একটি সাংবিধানিক পদ। এই পদে কোনও অস্থায়ী নিয়োগ হয় না। অস্থায়ীভাবে কোনও পদে যিনি বসেন, তিনি কেয়ারটেকার হিসেবে ওই পদ সামলান। কেয়ারটেকার বা কার্যনির্বাহী পদাধিকারী সাধারাণ দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কোনও বড় সিদ্ধান্ত বা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার তাঁর থাকে না। যে পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো হচ্ছে, তাতে আলাপনবাবুকে নীতিগত সিদ্ধান্তই নিতে হবে। নির্বাচন বাতিল হবে কি না, এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায় চাপছে তাঁর ঘাড়ে। অস্থায়ীভাবে পদে বসে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাঁর নেই। তাই এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনার পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ।’’

পড়ুন: আলাপন পর্বে নজর রাখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE