এক থেকে তিনে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতার পদ থেকে ছিটকে গেলেন মুকুল রায়। বদলে গেল তাঁর রাজ্যসভা কক্ষে বসার আসনও। এত দিন নেতা হওয়ার সুবাদে প্রথম সারিতে বসতেন মুকুলবাবু। প্রথম সারিতে তাঁর সতীর্থদের মধ্যে ছিলেন দেশের পয়লা নম্বর রাজনীতিবিদ ও নেতারা। খোদ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জেটলি, মনমোহন সিংহ, মায়াবতী, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরিকে নেই সেখানে! সোমবার থেকে এই হাই প্রোফাইল সারিতে বসবেন নতুন দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর তাঁর ছেড়ে যাওয়া তিন নম্বর সারিতে বসতে হবে মুকুলবাবুকে। যেখানে তাঁর প্রতিবেশী ডান দিকে আরজেডি-র মহেন্দ্র প্রসাদ, এবং বাঁ দিকে মিঠুন চক্রবর্তী! রাজ্যসভায় দলের মুখ্য সচেতক হিসেবে এত দিন দ্বিতীয় সারিতেই বসার কথা ছিল ডেরেকের। কিন্তু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং বয়সের সম্মান দিয়ে তিনি দ্বিতীয় সারিটি ছেড়েছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়কে। নয়া ব্যবস্থায়, দলের নবনিযুক্ত মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখরের দু’নম্বর বেঞ্চটি, স্বাভাবিক ভাবে বহাল থাকছে। মুকুলকে তাই বসতে হবে তাঁরও পিছনে। তবে তৃণমূলের একাংশের দাবি, এত কিছু সত্ত্বেও কিছুটা সম্মান দেখানো হয়েছে প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। এর আগে দলবিরোধী আচরণের জন্য শাস্তিস্বরূপ সাংসদকে একেবারে পিছনের দিকে পাঠানো হয়েছে। এডিএমকে-র মৈত্রেয়নকে জয়ললিতা-বিরোধী কথাবার্তা বলার জন্য প্রথম সারি থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ষষ্ঠ সারিতে! বিজু জনতা দলের প্যারীমোহন মহাপাত্রেরও একই দশা হয়। এই দুঃসময়ে তাই এটুকুই হয়তো সান্ত্বনা মুকুল রায়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy