Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
নির্মল বাংলা অভিযান

এ বার বাজার, বাস স্ট্যান্ডেও হবে শৌচাগার

শুধু বাড়িতে নয়, এ বার হাট-বাজার-বাস স্ট্যান্ডেও শৌচাগার গড়তে উদ্যোগী হল প্রশাসন। কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং রাজ্যের নির্মল বাংলা অভিযানে বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে এগোচ্ছে ব্যস্ত এলাকায় শৌচাগার তৈরির প্রক্রিয়াও।

তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে শৌচাগার।

তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে শৌচাগার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৫৪
Share: Save:

শুধু বাড়িতে নয়, এ বার হাট-বাজার-বাস স্ট্যান্ডেও শৌচাগার গড়তে উদ্যোগী হল প্রশাসন।

কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং রাজ্যের নির্মল বাংলা অভিযানে বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে এগোচ্ছে ব্যস্ত এলাকায় শৌচাগার তৈরির প্রক্রিয়াও। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২৮টি জায়গায় সুলভ শৌচাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১১টির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আরও নতুন ১০টি শৌচাগার তৈরির অনুমতি দিয়েছে জেলা পরিষদ। এর মধ্যে রয়েছে পিংলার গোকুলচক বাজার, চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের ভৈরবপুর বাজার, মৌলাবাজার, সবংয়ের ভেমুয়া বাজার, মোহাড় বাজার, সবং ডেলি মার্কেট, কেশপুরের নেওড়াদেউল বাজার, দাসপুর-১ ব্লকের চন্দ্রগড় বাসস্ট্যান্ড, ঘাটালের চকলছিপুর হাট তলা, গড়বেতা-৩ ব্লকের সাতবাঁকুড়া। প্রতিটি শৌচাগারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, “শুধু বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করলেই হবে না। তাই হাট-বাজার-বাসস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন জায়গাতেও সুলভ শৌচাগার তৈরি করা হচ্ছে।” জেলার শৌচাগার নির্মাণের কাজ ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ। ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে প্রায় সাড়ে ৯০ হাজার শৌচাগার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু ওই আর্থিক বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ বাকি থেকে যায়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে শৌচাগার তৈরির দায়িত্ব দেওয়ায় কাজের গতি শ্লথ হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অভিজ্ঞতা কম থাকায় কাজ ঢিমেতালে চলছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কাজে গতি আনতে অভিজ্ঞ ‘স্যানিটারি মার্ট’কে দিয়ে শৌচাগার তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের বিদ্যুত্‌ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “মাঝে বন্যা হওয়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পুনরায় কাজ চালু করতে একটু দেরি হয়। এ বার আবার শৌচাগার তৈরির কাজে গতি এসেছে।”

পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথা বলছে। চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ১ লক্ষ শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৫৭ হাজার শৌচাগার। চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে আর বেশি দিন দেরি নেই। ফলে চলতি বছরেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, বন্যার সময় দু’মাসের বেশি কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তাতেই এই বিপত্ত ঘটে। এ বার জোর কদমে কাজ শুরু হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE