আলিপুরদুয়ারের পরে এ বার ফরাক্কা।
আলিপুরদুয়ারে সম্ভ্রম বাঁচাতে শিশু-সহ চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন এক মহিলা। সে বার কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। আর এ বার ফের প্রশ্ন উঠল রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা স্টেশনে ঢোকার আগে চলন্ত ট্রেন থেকে এক মহিলা যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জিআরপি-র বিরুদ্ধেই। স্ত্রীকে বাঁচাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন ওই মহিলার স্বামীও। রবিবার রাতে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের ওই ঘটনায় জখম মহিলা বর্তমানে ফরাক্কার বেনিয়াগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় চারটে সেলাই পড়েছে। জখম ওই মহিলার স্বামীও।
দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা রূপেশ গিরি ও তার স্ত্রী নিশা বহরমপুরে এসেছিলেন। রবিবার খাগড়া স্টেশন থেকে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় ওঠেন। অভিযোগ, আজিমগঞ্জ স্টেশন থেকে দু’জন জিআরপি ওঠে। আসনে বসা নিয়ে ওই দুই পুলিশকর্মীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় নিশাদেবীর স্বামী রূপেশবাবুর।
নিশাদেবী বলেন, ‘‘আচমকা ওরা আমার স্বামীকে মারধরও শুরু করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে ধাক্কা মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়।’’ স্ত্রীর চিৎকারে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন রূপেশবাবুও। ফরাক্কায় ঢোকার বেশ কিছু আগে এমন ঘটনার পরে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই দু’জনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সজল পণ্ডিত জানান, নিশাদেবীর চোট বেশি ছিল বলে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। রূপেশবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই দম্পতি রেলপুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ফরাক্কা স্টেশনের জিআরপি ইনচার্জ দুলাল মজুমদার বলেন, ‘‘ওই মহিলার পড়ে যাওয়া ও তাঁর স্বামীর ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনাটি ঠিকই। কিন্তু রবিবার রাতে জিআরপির বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও অভিযোগ করেননি। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্তও তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানাননি।’’
তবে অভিযোগ জমা না দিলেও ওই দম্পতিকে সাহায্যের জন্য রেল পুলিশের দু’জন কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। হাওড়া রেল পুলিশের সুপার মেহেমুদ আখতার বলেন, ‘রেলপুলিশের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy