আর তিন দিন পরেই সিউড়ি পুরসভার ভোট। তার ঠিক আগে সিউড়ি পুরসভার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের পথে গিয়ে দলকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ।
মাস দুয়েক আগে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন ধর্নায় বসে তিনি জানিয়েছিলেন সিউড়ি পুরসভার জলপ্রকল্প কেন বিলম্বিত হল, তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। শেষ পর্যন্ত আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চলেছেন স্বপনবাবু।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার সিউড়ির বিধায়ক জানান, ওই জলপ্রকল্পটি কেন বিলম্বিত হল, রাজ্যের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্র। সিউড়ি পুরসভার আধিকারিকদের কাছ থেকে নথি চেয়েছে রাজ্য।
তবে স্বপনবাবুর আশঙ্কা, ‘‘রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে রাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করতে পারে কেন্দ্র। এটা রাজনৈতিক বিষয়। কোনও গোপন সমঝোতায় তদন্ত যাতে থমকে না যায়, সে জন্যই মামলাটা করছি।’’ স্বপনবাবুর হয়ে মামলায় লড়ার কথা কলকাতার প্রাক্তন বাম মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যের। তৃণমূলের তরফে কেউ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
জলপ্রকল্পের পাশাপাশি ওই পুরসভার একটি জমি-দুর্নীতি নিয়েও তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে স্বপনবাবু জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০০৬ সালে তৃণমূল চালিত সিউড়ি পুরসভার তদানীন্তন পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের নামে সিউড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পুরসভার চাঁদনি সাহেবগঞ্জ মৌজার বেশ কিছুটা জায়গা বীরভূম জেলা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনকে দীর্ঘ মেয়াদে লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছিল না বলে অভিযোগ। পরে জেলা আদালতে মামলাটি গড়ায়। স্বপনবাবুর অভিযোগ, ‘‘কিছুদিন আগে জানতে পারলাম, বিচারাধীন অবস্থায় হঠাৎই সরকারপক্ষ থেকে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়। টাকা তছরুপ এবং বেআইনিভাবে সরকারি জমি বিক্রি করা নিয়ে বিচারাধীন মামলা কীসের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার তুলে নিল?’’ এই প্রশ্ন তুলে স্বপনবাবু আগামী সপ্তাহে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে এ দিন জানান। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তেরও তিনি দাবি তোলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy