পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৃণমূলের এক সাংসদকে জেরা করার জন্য ডাকতে চলেছে সিবিআই। এর আগে এক বার এই সাংসদকে সাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মদনবাবু তাঁর সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দিয়েছেন যা যাচাই করতে ওই সাংসদকে আবার জেরা করা দরকার।
কী তথ্য যাচাই করার জন্য ডাকা হচ্ছে ওই সাংসদকে?
সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই সাংসদ সুদীপ্তকে চাপ দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা আদায় করার চেষ্টা করেছিলেন বলে তথ্য মিলেছে। অভিযোগ, এর মধ্যে তিন কোটি টাকা তাঁকে দিয়েওছিলেন সুদীপ্ত। কিন্তু এর পরেই তিনি দলের শীর্ষ স্তরে ওই ঘটনাটির কথা জানান। সিবিআইয়ের দাবি, এর পরেই শীর্ষ নেতারা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। ওই সাংসদকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তার পরেও ওই সাংসদ টাকার জন্য সুদীপ্তকে চাপ দিয়েছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
সিবিআই সূত্রের কথায়, সুদীপ্ত-দেবযানীর বয়ানের ভিত্তিতে মাস দু’য়েক আগে ওই সাংসদকে তলব করে জেরা করা হয়েছিল। কিন্তু মদনবাবুর বয়ানের ভিত্তিতে ফের ওই সাংসদকে তলব করা হচ্ছে। এক তদন্তকারীর কথায়, “ওই সাংসদ যে মাঝেমধ্যেই সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে আসতেন, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।”
মদনকে জেরা করে শুধু ওই সাংসদই নন, শাসক দলের আরও কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে নানা তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “ওই সব নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক তথ্যই জোগাড় করা হয়েছে। মদনবাবুকে জেরা করার পরে আরও তথ্য মিলছে। তবে সব তথ্যই আমরা যাচাই করে তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
এর মধ্যে ‘সারদা রিয়েলটি’ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রজত মজুমদার, ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবাল ও ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। বুধবার ওই তিন অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হারাধন মুখোপাধ্যায়ের আদালতে হাজির করানো হয়। ওই তিন অভিযুক্তের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলদের জামিনের আবেদন করেন। সিবিআই আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ওই তিন জনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই চার্জশিট দেওয়া হবে। জামিন পেলে তাঁরা মামলা প্রভাবিত করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy