এসএসসি-জটে রাজ্যপালের প্রশ্ন কর্তাদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
স্কুলে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছে। হয়েছে মামলাও। এ বার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনও।মেধা-তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রার্থী চাকরি পাচ্ছেন না কেন, তা জানতে স্কুলশিক্ষা দফতর ও স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সচিবদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার ওই সচিবেরা রাজভবনে গিয়ে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করেন বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। এক দল প্রার্থীর অভিযোগ, এসএসসি-র চূড়ান্ত মেধা-তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কাউন্সেলিং ও চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অথচ তালিকায় তাঁদের পিছনে থাকা অনেকেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এর প্রতিবাদে এসএসসি-র দফতরের সামনে টানা ২১ দিন অনশন করেন ওই প্রার্থীরা। সম্প্রতি তাঁরা ভিক্ষার থালা হাতে প্রতীকী আন্দোলনও করেছেন। এই বিষয়েই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন রাজ্যপাল।স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নথিপত্র দিয়ে ওই দুই কর্তা নারায়ণনকে বোঝান, এসএসসি-র পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ম মেনেই হয়েছে। এ দিনই আবার মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির এক দল প্রতিনিধি রাজভবনে গিয়ে এসএসসি এবং প্রাথমিকের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
মিছিলে হামলা, নেতাকে মার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
বেলেঘাটায় সিপিএমের মিছিলে হামলা ও দলীয় দফতরে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কলকাতার তিন নম্বর বোরোর সিপিএম চেয়ারম্যান রাজীব বিশ্বাসকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। সিপিএম-কর্মীরা থানায় অভিযোগ করেছেন, রাতে বেলেঘাটা রোডে দলের কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল বেরিয়েছিল। তখনই আঞ্চলিক দলীয় দফতরের সামনে তাঁদের মারধর করা হয়। দলীয় দফতর থেকে রাজীববাবুকে টেনেহিঁচড়ে বার করে এনে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে। পরে ওই দফতরে ভাঙচুরও হয়। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে সিপিএম। পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। রাজীববাবু বলেন, “হামলা হতেই আমরা কোনও রকমে দলীয় দফতরে ঢুকে পড়েছিলাম। সেখানে ঢুকে আমাকে মারধর করা হয়েছে। অফিসের জিনিসপত্র ভেঙে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা।” বেলেঘাটা থানায় বেশ কয়েক জনের নামে অভিযোগ করা হয়। তাদের দুই কর্মীকে আটক করার প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।
লগ্নি সংস্থার ডিরেক্টর ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারির পরে অন্যান্য বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন আমানতকারী, এজেন্ট এবং বিরোধী দলের নেতারা। রাজারহাট থেকে এমনই একটি লগ্নি সংস্থার ডিরেক্টরকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শ্যামসুন্দর সাউ। তিনি ‘কাইন্ড অ্যান্ড কেয়ার রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর। তাঁর সঙ্গেই দু’জন এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, বারাসত, রাজারহাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে টাকা তুলত ওই সংস্থা। দু’বছরে টাকা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্ষেত্রে তা না-হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন বেশ কয়েক জন আমানতকারী। ওই সংস্থার অফিসে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের বেতনও আটকে রাখার অভিযোগ আছে শ্যামসুন্দরের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy