প্রাথমিকে নিয়োগ-বদলি নিয়ন্ত্রণ শিক্ষা বিভাগের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
হাজারো অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। তাই এ বার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ এবং বদলির নিয়ন্ত্রণ সরাসরি হাতে নিচ্ছে স্কুলশিক্ষা দফতর। এখন নিয়োগ হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির মাধ্যমে, বদলিও তারাই করে। ভবিষ্যতে তা-ই হবে। কিন্তু নিয়োগ ও বদলি চূড়ান্ত হওয়ার আগে তালিকা পাঠাতে হবে বিকাশ ভবনে স্কুলশিক্ষা দফতরে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার এ কথা জানান। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এর আগে যাঁরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন, নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই। সেই জন্যই স্বচ্ছতা আনতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও সংশ্লিষ্ট আইনে এর সংস্থান এখনও নেই। শাসক দলের ঘনিষ্ঠতার ভিত্তিতে এবং অর্থের বিনিময়ে প্রাথমিকে প্রচুর নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সরকারি নিয়ন্ত্রণে বদলি ও নিয়োগ হলেও সেই প্রবণতায় ছেদ পড়বে না বলেই তাঁদের মত। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য এই ধরনের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অনিয়মের অভিযোগ উঠলে সরকার যাতে উত্তর দিতে পারে, সেই জন্য প্রস্তুত থাকতে চান তাঁরা। নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনার জন্য ১৯ জুলাই জেলা স্কুল পরিদর্শক ও সংসদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে সামঞ্জস্য আনছে রাজ্য
রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধিতে সামঞ্জস্য রাখতে একটি সাধারণ রূপরেখা তৈরি করে দিতে চায় রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানান, উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে তাঁর। মন্ত্রী বলেন, “এক-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক-এক রকম বিধি থাকলে সামঞ্জস্যের অভাব দেখা দিতে পারে। ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্টস’ অর্থাৎ কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, সেই ব্যাপারে একটা সাধারণ রূপরেখা মেনে বিধি তৈরি হলে এই সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।” বারাসতের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে ঢোকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্ত্রী এমন একটি শর্ত বিধিতে রাখার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ মহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। তবে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। পার্থবাবু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। কী ভাবে কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলেই যা করার করা হবে।”
সেট-এ পাশের হার বৃদ্ধি
স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-এ সাফল্যের হার বাড়ল। ২০১১ সালে সাফল্যের হার ছিল ২.৬২%। ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরের পরীক্ষায় তা প্রায় ৪% বেড়ে হয়েছে ৬.২৯%। বুধবার ফল ঘোষণা করে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, এ বারের পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৬১১১ জন। সফল হয়েছেন ১৬৪৩ জন। ২৩টি বিষয়ের মধ্যে সাফল্যের হার সব থেকে বেশি ভূগোলে (১৬.২১%), সব থেকে কম ইংরেজিতে (০.৫৭%)। পদার্থবিজ্ঞানেরও ফল বেশ খারাপ (০.৬৬%)। এই দু’টি বিষয়ে পাশের হার কম কেন, তা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
বিজেপি নয়
‘গণতন্ত্র বাঁচাও, নৈরাজ্য হঠাও’ এই আহ্বান সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল ফব। শ্যামনগর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত-সহ নানা এলাকায় কর্মসূচির পাশাপাশিই ধর্মতলায় অবস্থানে অংশ নিয়েছিলেন জয়ন্ত রায়, নরেন চট্টোপাধ্যায়, বরুণ মুখোপাধ্যায়-সহ দলের গোটা রাজ্য নেতৃত্ব। সেই মঞ্চ থেকেই দলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস ও অশোক ঘোষ রাজ্যে বিজেপি-র বিপদ সম্পর্কে দলকে সতর্ক করেন। দেবব্রতবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখন ডাঙায় বাঘ, জলে কুমির। কেউ কেউ ভাবছেন, চলো বিজেপি-তে যাই। দয়া করে খাল কেটে কুমির আনবেন না! কুমির যখন টান মারবে, বাঁচার রাস্তা থাকবে না!” এ দিনই ফব-র ছাত্র সংগঠন ও আইটি সেল থেকে ইস্তফা দেন রুদ্রজ্যোতি কর চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy