প্রাথমিকের শিক্ষক বাছাইয়ের পরীক্ষা (টেট) কবে হবে, তা নিয়ে জট কাটল না এখনও। প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা ওই পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারেও এখনও কিছু জানায়নি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে এনসিটিই-কে আবার চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
প্রাথমিকের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের টেট-এ বসতে দেওয়ার আবেদন করে দু’বার চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য। একটিরও জবাব মেলেনি। কিছু দিন আগে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কলকাতায় আসেন। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে টেলিফোনে জানান, পশ্চিমবঙ্গে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের টেট-এ বসার জন্য ছাড় দেওয়ার দরকার নেই।
এ বছর ৩০ মার্চ প্রাথমিকের টেট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটের জন্য তা স্থগিত হয়ে যায়। অথচ প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসার সময়সীমা পেরিয়েছে ৩১ মার্চ। ৩০ মার্চের পরীক্ষায় প্রশিক্ষণহীন যে আবেদনকারীদের বসার কথা ছিল, তাঁদের ভাগ্য এনসিটিই-র সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভরশীল। শনিবার স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, এনসিটিই-র কাছে ফের চিঠি পাঠিয়ে এ মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। উত্তর না এলে দফতরের কর্তারা দিল্লিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি। তবে এনসিটিই-র কোনও প্রতিক্রিয়া জানতে না পেরে ঘনিষ্ঠ মহলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী শনিবার প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
মন্ত্রী অবশ্য জানান, বৈঠকে এমন আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, “নতুন পরিদর্শক, সংসদ-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে পরিচিত হলাম। বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো সম্বন্ধে রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছি ওঁদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy