Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দাগা খেয়ে বিমানের পণ, আর যাব না বিয়েবাড়ি

না জেনে নাকি একটা বিয়েতে চলে গিয়েছিলেন। তা-ই নিয়ে কথা শুনতে হচ্ছে বিস্তর। অভিমানী বিমান বসু তাই ঠিক করেছেন, আর নয়! বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রণ পেলেও আর ও’পথে নয়! সিপিএমের অকৃতদার রাজ্য সম্পাদক সোমবার নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই নতুন পণের কথা! বেশ কিছু দিন আগে এমপিএস গোষ্ঠীর কণর্ধার প্রমথ নাথ মান্নার মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন বিমানবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১৩
Share: Save:

না জেনে নাকি একটা বিয়েতে চলে গিয়েছিলেন। তা-ই নিয়ে কথা শুনতে হচ্ছে বিস্তর। অভিমানী বিমান বসু তাই ঠিক করেছেন, আর নয়! বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রণ পেলেও আর ও’পথে নয়! সিপিএমের অকৃতদার রাজ্য সম্পাদক সোমবার নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই নতুন পণের কথা!

বেশ কিছু দিন আগে এমপিএস গোষ্ঠীর কণর্ধার প্রমথ নাথ মান্নার মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন বিমানবাবু। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর ছবিও উঠেছিল। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্যমে প্রমথবাবু বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে এখন হাজতে। এই সময়ে বিমানবাবুর সেই ছবি ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবং তার প্রেক্ষিতেই বিমানবাবুর বিয়ের আমন্ত্রণে আর না-যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

আলিমুদ্দিনে এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকের পরে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমানবাবু জানিয়েছেন, প্রমথনাথের মেয়ের বিয়েতে গেলেও তিনি কফি ছাড়া কিছু খাননি। মিতাহারী বিমানবাবু কোথাও গিয়েই ভূরিভোজে মন দেন না। মান্না বাড়ির সেই বিয়ের কথার সূত্রেই এ দিন বিমানবাবুর বক্তব্য, “যে ভাবে বিষয়টা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা হচ্ছে, ঠিক করেছি, আর কোনও বিয়ে বাড়িতে যাব না!” গত ৩৮ বছরে তিনি আমন্ত্রিত হয়ে বিয়ে বাড়িতে গেলেও কোথাও কিছু খাননি। বিমানবাবুর কথায়, “শৈলেন দাশগুপ্তের (সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক) ছেলের বিয়েতে গিয়েও খাইনি!” সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, “আমন্ত্রণ পেলেও আমি শ্রাদ্ধ বা অন্নপ্রাশনে যাই না। নিজে বিয়ে না করলেও বিয়ে বাড়িতে যেতাম! আর যাব না!”

প্রমথবাবু বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কারবারের সঙ্গে যুক্ত, তা তাঁর জানা ছিল না বলেই মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন এই যুক্তি বিমানবাবুর। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, সে বার পয়লা বৈশাখের আগে তিনি নাকি সুদীপ্ত সেনের ব্যাপারে কিছু জানতেন না! দু’টো প্রায় একই রকম হয়ে গেল না কি? এই প্রশ্নে ক্ষুব্ধ বিমানবাবুর জবাব, তিনি বলেন, “আমি ডেলোর মতো নিশুতি রাতে কোনও বৈঠক করিনি।! প্রকাশ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। দু’টো বিষয়কে এক করে দেখা ঠিক নয়!” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের আরও ব্যাখ্যা, “এমপিএস-কর্তার সঙ্গে আমার কোনও পারিবারিক সম্পর্ক নেই! ঝাড়গ্রামে ওদের বিভিন্ন প্রকল্প আছে শুনেছিলাম। মৎস্যচাষের প্রকল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প, এমনকী, পাথুরে মাটিতে কী ভাবে ফসল ফলানো যায়, তার প্রকল্প। মেয়ের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গিয়েছিলাম। কফি ছাড়া আর কিছু খাইনি!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE