রবিবার রাত ৯টা থেকে আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা এক সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর বাড়ির লোকের আশঙ্কা, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। চয়ন সরকার নামে এই সাংবাদিকের বাড়িতে ২৮ জুলাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন কর্মী চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ দিন সেই ঘটনায় ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁরা সকলেই টিএমসিপি-র কর্মী।
এ দিন রাত সাড়ে আটটার সময় চয়নবাবু তাঁর এক সহকর্মীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। তারপর তিনি মোটরসাইকেলে সলসলাবাড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার যাচ্ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের চৌপথীতে এ দিন রাতে তাঁর উপরে হামলার প্রতিবাদে পথসভা ছিল। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি ওই পথসভায় পৌঁছননি দেখে তাঁর খোঁজ শুরু হয়। সে সময়েই স্থানীয় এক বাসিন্দা সলসলাবাড়ি বাজার থেকে সামান্য দূরে রাজ্য সড়কের উপরে চয়নবাবুর মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখেন। তার কাছেই পড়ে ছিল তাঁর মানিব্যাগটিও। তাঁর দু’টি মোবাইলই বন্ধ। তিনি কোথায়, তার খোঁজ এ দিন গভীর রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
খবর জানাজানি হতেই আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালভে মুরুগণ-সহ বড় কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সিআইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মোবাইলের সূত্র ধরেও তাঁর খোঁজ চলছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই সাংবাদিকের উপরে হামলার ঘটনার নিন্দা আগেই করা হয়েছিল। সেই হামলায় ইতিমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুনলাম, এ দিন রাত থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।’’
চয়নবাবু থাকেন আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন বীরপাড়া এলাকায়। তাঁর কাকা প্রবীণ সরকার বলেন, ‘‘আশঙ্কা করছি, চয়নকে অপহরণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগই থানায় জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy