মঞ্চে প্রশাসনিক শীর্ষকর্তা এবং অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতেই সামগ্রিক ভাবে বীরভূম প্রশাসনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী আসার পরে সার্কিট হাউসে একান্ত বৈঠকে তৃণমূলের নেতা এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
দার্জিলিঙের ধসের পরে পরিস্থিতি দেখতে যাবেন বলে বীরভূমের প্রশাসনিক বৈঠক এর আগে বাতিল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এ দিনের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বোলপুর সার্কিট হাউসে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাতেই দেখা করেন জেলার দুই বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রনাথ সিংহ। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী এবং পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারও। দলীয় সূত্রের খবর, বীরভূমের উন্নয়ন নিয়ে নানা আলোচনা চলে। পাশাপাশি উঠে আসে অশান্ত পাড়ুইয়ের প্রসঙ্গটিও। তৃণমূলের নেতারা এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা, উভয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টা নাগাদ সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে হেঁটে বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সন্তোষ প্রকাশ করলেও এ দিনের বৈঠকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সেই কাজগুলি দ্রুত শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন।
বৈঠকে রামপুরহাট-তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদকে ২ কোটি টাকার চেক দিয়েছেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে পাড়ুইয়ের আশান্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমি নাম করছি না। একটি রাজনৈতিক দলের লোক জন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এলাকায় এনে অশান্তি করছে। ডিজি এখানে রয়েছেন। ওঁকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’’
ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy