শেরিং তোবগে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুটান সফরের প্রথম দিনে চমক দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার, মমতার সফর শেষের দিনেও চমকটা বহাল রাখলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
তাঁর এ দিনের সরকারি কর্মসূচিতে মমতার সঙ্গে দেখা করার সময় নির্ধারিত ছিল না। কিন্তু থিম্পু থেকে দেড় ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে আচমকাই পারো-য় এসে হোটেলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তোবগে। ঠিক একই ভাবে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চমকে দিয়েছিলেন, যে-দিন মমতা ভুটান সফরে থিম্পুতে পৌঁছেছিলেন। সে-দিন দুপুরের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা যা হওয়ার, তা তো হয়েছিলই। তাঁর ‘মমতাদিদি’র সঙ্গে দেখা করার জন্য রাতে আবার হঠাৎই হোটেলে পৌঁছে যান তোবগে।
মমতার সফরের মাঝপর্বেও চমকে দেওয়ার খেলাটা চালিয়ে গিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার নৈশভোজের পরে নিজে সারথি হয়ে (প্রায় আধ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে) মমতাকে পৌঁছে দেন তাঁর সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের হোটেলে। রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পাশাপাশি এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী ‘দিদি’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ‘ভাই’-এর আন্তরিকতার ছোঁয়া লেগেছে সফরের প্রতিটি মুহূর্তে। আর খোদ মমতাও এতে মুগ্ধ।
এ দিন মমতার সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা কথা হয় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর। তোবগে জানান, আগামী জানুয়ারিতে কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে তিনি আসবেন। এ দিন পরমা উড়ালপুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তোরগের কলকাতায় আসার কথা জানান। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর আসা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এ দিন মমতার ফেরার সময় পারো বিমানবন্দরে তাঁকে ফোন করে ভুটানের বর্তমান রাজার বাবা জিগমে সিংঘে ওয়াংচুকও। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘ভুটান যাওয়াটা ঐতিহাসিক সফর হয়েছে। এত সম্মান ওঁরা আমাদের দিয়েছেন যে, ভাষায় বোঝানো যাবে না। আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলা মুগ্ধ ভুটানে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy