Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভোট-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোর্টে ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূল

ভোট মিটলেও শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আক্রমণ এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলছেন সব বিরোধী দলই। তবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হননি কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বই। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটালেন কামারহাটির এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার তিনি বারাসত জেলা আদালতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘নির্বাচন প্রহসন’-এর মামলা দায়ের করলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৪:১০
Share: Save:

ভোট মিটলেও শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আক্রমণ এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলছেন সব বিরোধী দলই। তবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হননি কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বই। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটালেন কামারহাটির এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার তিনি বারাসত জেলা আদালতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘নির্বাচন প্রহসন’-এর মামলা দায়ের করলেন।

কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জোড়া পাতা চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ওই এলাকার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী দীপা বিশ্বাস (শিখা)। ১৯৯৮ থেকে পুরভোটের আগে পর্যন্ত তিনি বেলঘরিয়া টাউন তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী পদে ছিলেন। দীপাদেবীর অভিযোগ, পুরভোটে তাঁকে দলের তরফে কাউন্সিলরের টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা করা হয়নি। তাই তিনি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল হিসেবে জোড়া পাতা চিহ্নে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।

এ দিন বারাসত জেলা আদালতে মামলা দায়ের করার পর দীপাদেবী বলেন, ‘‘ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন হামলা শুরু করেছিল ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অজিতা ঘোষের লোকজন। ভোটের দিনও আমাকে ও এজেন্টকে বেধড়ক মারধর করে ভোট লুঠ করা হয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, প্রাণহানির হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া-সহ বিভিন্ন রকমের অত্যাচার করেছেন অজিতাদেবী ও তাঁর লোকজনেরা। পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগও করেছেন দীপাদেবীরা।

দীপাদেবীর আইনজীবি বরুণ দাস বলেন, ‘‘নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে, দীপাদেবীর উপর যে আক্রমণ হয়েছে সব কিছুর বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে।’’ তবে দীপাদেবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বেলঘরিয়া টাউন তৃণমূলের সভাপতি তথা কামারহাটির বিদায়ী পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘আদালতে যাওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। তবে উনি যে সব অভিযোগ করছেন, তা যদি সত্যি হত তবে নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিত।’’ তাঁর দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্বই দীপাদেবীকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE