ধর্মঘট সম্পূর্ণ ব্যর্থ! বুধবার বিকেলে নবান্নে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কর্মচারীদের হাজিরার পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ দিন কলকাতার সরকারি অফিসগুলিতে ৯৩ শতাংশ হাজিরা ছিল। স্বাভাবিক দিনে যা ৯১ শতাংশ থাকে বলে দাবি করেন তিনি। অন্য দিকে, গ্রামাঞ্চলের অফিসগুলিতে কর্মীদের ৯৭ শতাংশ হাজিরা ছিল বলেও জানান তিনি। তবে, কোথাও কোথাও ১০০ শতাংশ হাজিরা ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি।
এর পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে বাম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম গুন্ডামি করেছে। তৃণমূলকর্মীরা অনেক সংযত ছিল। পুলিশও যথেষ্ট সৌজন্য দেখিয়েছে।’’ এমনকী, তৃণমূলকর্মীদের দেখে সিপিএমের শেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মমতা। ধর্মঘট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে তিনি বলেছেন, ‘‘রোজ রোজ বন্ধ করাটা একটা বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এটাকে ভেঙে দিতে চাই।’’
জবাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘‘সবই অসত্য। ধর্মঘট কেমন হয়েছে, তৃণমূলকর্মীরা কেমন আচরণ করেছেন, প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রীদের সঙ্গে পুলিশ কেমন ব্যবহার করেছে, সবই মানুষ দেখেছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘উনি (মমতা) চ্যালেঞ্জ করেছেন। আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম।’’ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘আমরা ওঁকে চ্যালেঞ্জ জানালাম। নবান্ন অভিযান হয়েছে, একটা ধর্মঘটও হয়েছে। এর পর আরও প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ওঁকে দেখতে হবে।’’ তিনি জানান, বিদ্যুত্ মাশুল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, খাদ্য সুরক্ষা আইন কার্যকর না হওয়ার বিরুদ্ধে, টেট কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে বামেদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘এগুলি সবই উনি দেখতে পাবেন।’’ আর তৃণমূলের কাছে সিপিএম কর্মীদের শিখতে হবে বলে মমতা যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে সূর্যবাবুর পাল্টা মন্তব্য, ‘‘নেতাজি সুভাষ বা বিবেকানন্দ বেঁচে থাকলে তাঁদেরকেও ওঁর কাছ থেকে শিখতে হত। রাস্তায় কাটআউট অন্তত সে কথাই বলে। মনীষীদের থেকে ওঁর কাটআউট বড়।’’
বহরমপুরে সিপিএম কর্মীদের উপর তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণের ঘটনা নিয়ে মমতা এ দিন মন্তব্য করেন, ‘‘কিছু কিছু জায়গায় ওরা অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করেছে। আমি তো দেখলাম লাল ঝান্ডা নিয়ে ওরা পেটাচ্ছে!’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, এই তাণ্ডব এবং গুন্ডামির বিরুদ্ধে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিকেল ৪টে থেকে ৫টা ধিক্কার মিছিল বের করবে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy