Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোর্চা ভেঙে ফের নতুন মঞ্চ, দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রীর

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন একটি ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ তৈরি করলেন তরাই-ডুয়ার্সের বেশ কয়েক জন নেতা। ‘ডুয়ার্স-শিলিগুড়ি-তরাই ভারতীয় নেপালি উন্নয়ন ফোরাম’ নামে ওই নতুন মঞ্চের সদস্যরা শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:২২
Share: Save:

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন একটি ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ তৈরি করলেন তরাই-ডুয়ার্সের বেশ কয়েক জন নেতা। ‘ডুয়ার্স-শিলিগুড়ি-তরাই ভারতীয় নেপালি উন্নয়ন ফোরাম’ নামে ওই নতুন মঞ্চের সদস্যরা শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন। মঞ্চের তরফে প্রবীণ সিংহ পরে বলেন, ‘‘তরাই-ডুয়ার্সের কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি। উন্নয়নের প্রশ্নে বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই মোর্চা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন মঞ্চ তৈরি হল। আমরা চাই পাহাড়ের উন্নয়ন।’’ সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৃথক উন্নয়ন পর্ষদের দাবিও জানিয়েছেন।

মোর্চা থেকে বেরিয়ে আসা এই নেতাদের অনেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পদে ছিলেন। এখন তাঁদেরই অভিযোগ, জিটিএ গঠনের পরে মোর্চা নেতারা দার্জিলিং তথা পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে যতটা আগ্রহ দেখিয়েছেন, ডুয়ার্স বা তরাইয়ের জন্য ততটা উৎসাহী ছিলেন না। ডুয়ার্স-তরাইয়ের এলাকাগুলি জিটিএ-তে অন্তর্ভুক্ত হয়নি দেখেও মোর্চার শীর্ষ নেতারা খুব একটা উচ্চবাচ্য করেননি।

‘বিক্ষুব্ধ’ মোর্চা নেতারাই মনে করেন, গোর্খাল্যান্ড কবে হবে কেউ জানে না। ভবিষ্যতে তরাই-ডুয়ার্সের উন্নয়নেও গুরুঙ্গর ভূমিকা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের। এমনকী, উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে গুরুঙ্গ আলোচনাও করেননি বলে তাঁদের অভিযোগ। তাই গুরুঙ্গকে চাপে রাখতে নতুন মঞ্চ তৈরি করলেন তাঁরা। গত মাসেই মংপঙে এই মঞ্চ তৈরির ঘোষণা হয়েছিল। তবে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সমর্থনে তাঁরা লড়বেন কি না, এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত প্রবীণবাবুরা জানাননি।

নতুন মঞ্চকে কটাক্ষ করে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘যে যেখানে খুশি কমিটি বা ফোরাম তৈরি করতে পারে। সমর্থকরা সকলেই গুরুঙ্গের সঙ্গেই রয়েছেন। পাহাড়-ডুয়ার্স-তরাইতে মোর্চার সংগঠন এক ইঞ্চিও কমেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE