রাজ্যে কোন দশটি শহর ‘স্মার্ট সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, তার তালিকা চূড়ান্ত করল রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের। সেই তালিকায় রয়েছে নিউ টাউন, বোলপুর, দুর্গাপুর, বাউড়িয়া, রঘুনাথপুর, জয়গাঁ, ফুলবাড়ি, গঙ্গাসাগর, হুগলি এবং কল্যাণী। দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর, পরিকল্পনা দফতর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পরিকল্পনা সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। মহকুমাশাসক পদ মর্যাদার দশ জনকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফের বৈঠক করবেন নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন। ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক হবে। ‘স্মার্ট সিটি’গুলিতে আধুনিক আবাসন, মোনো রেলের মতো পরিবহণ, তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক-সহ সব রকম উন্নত মানের ব্যবস্থা থাকবে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে একশো স্মার্ট সিটি তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। গত জুলাই মাসে পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘স্মার্ট সিটি’-র প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, উন্নয়নের ফলে গ্রাম ছেড়ে শহরে বাস করার প্রবণতা বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। যাঁদের লক্ষ্য উন্নতমানের জীবনযাত্রা। আর এই নতুন মধ্যবিত্তদের জন্য চাই নতুন শহর। বর্তমান বড় শহরগুলির পাশে ছোট ছোট এ সব শহরে গড়ে উঠবে আবাসন-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো। এই শহরগুলিকেই ‘স্মার্ট সিটি’ বলা হবে। চলতি বছরে কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই প্রকল্পে বরাদ্দও করা হয়েছে প্রায় ৭০৬০ কোটি টাকা। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সম্প্রতি সিঙ্গাপুর সফর করেন। স্মার্ট সিটি’ প্রকল্পে সাহায্য করতে রাজি হয় সিঙ্গাপুর সরকার।
রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্মার্ট সিটিগুলি মূলত গড়ে উঠবে তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে শহরের পরিকাঠামো তৈরি করবে রাজ্য সরকার। পরিকল্পনার খুঁটিনাটি কেন্দ্রকে জানাতে হবে। রাস্তা, নিকাশি, আলো ও জলের মতো মৌলিক পরিষেবা ব্যবস্থার দায়িত্ব সরকার নেবে। তবে আবাসন ও সামাজিক পরিকাঠামো তৈরির জন্য দেশি-বিদেশি নির্মাণ সংস্থাকে লগ্নিতে উৎসাহিত করতে হবে সরকারকেই।
স্মার্ট শহরে আবাসন তৈরির জন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি টানতে কেন্দ্র প্রকল্পের মাপ বেশ কিছুটা নামিয়ে নিয়ে এসেছে। আগে ৫০ হাজার বর্গ মিটারের নীচে কোনও প্রকল্প প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নেওয়ার ছাড়পত্র পেত না। এখন সেই লগ্নির পরিমাণ ২০ হাজার বর্গ মিটার করা হয়েছে। কমানো হয়েছে লগ্নির পরিমাণও। আগে এক কোটি মার্কিন ডলারের কমে বিনিয়োগ করা যেত না। এই ধরনের শহরের আবাসনে বিনিয়োগ ৫০ লক্ষ মার্কিল ডলার হলেও করা যাবে। কেউ চাইলে তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy