লোকসভা ভোটে দেশ সমর্থন ঢেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে ভিত মজবুত ছিল না, সেখানেও প্রায় ১৭% ভোট মিলেছে। তার চার মাসের মধ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনে এ রাজ্যে এক মাত্র বিধায়ক পেয়েছে দল। এই সব সাফল্যকে সুসংহত করে সদস্য সংখ্যায় রেকর্ড গড়তে চাইছে বিজেপি। দিল্লিতে আজ, শনিবার দলের সদস্যকরণ অভিযান শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে ১০ রাজ্যের নেতাদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠকে বসে বিজেপি। কলকাতাকে বেছে নেওয়া বিজেপির কাছে পশ্চিমবঙ্গের বাড়তি গুরুত্বের প্রমাণ।
সাম্প্রতিক সাফল্যে উৎসাহিত বিজেপির নয়া লক্ষ্যএ রাজ্যে ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হওয়ার মতো সদস্য সংগ্রহ করা। শুক্রবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম এবং উত্তর পূর্বের সাত রাজ্যের বিজেপি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পর্যবেক্ষক ও সদস্য নেওয়ার ভারপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠকের আলোচ্য ছিল সদস্য সংগ্রহ অভিযানই। ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জগৎপ্রকাশ নাড্ডা, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল প্রমুখ। পরে নাড্ডা জানান, বিজেপির সদস্য সাড়ে তিন কোটির আশপাশে। সেই রেকর্ড তাঁরা ভাঙতে চান। নাড্ডা বলেন, “আমরা সব রাজ্যেই ভিত্তি মজবুত করতে চাইছি। বাংলা এবং অসমকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে অনলাইন এবং ফোনে সদস্য হওয়ার ব্যবস্থা চালু করছে বিজেপি। নাড্ডা জানান, এ রাজ্যে তাঁদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ছ’ লক্ষ। ২০১৫-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা দেশে সদস্য নেওয়া হবে। নাড্ডার কথায়, “তার পর এ রাজ্যে সদস্যের সংখ্যা দেখে অনেকেরই চোখ খুলে যাবে।”
কিন্তু এর ফলে দলে বেনো জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা নেই? নাড্ডার জবাব, “যাঁরা ফোনে সদস্য হবেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা বুথ নেতাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অন্যায়ে অভিযুক্ত কেউ সদস্য হওয়ার চেষ্টা করলে, বুথ নেতার স্তরে এসে তিনি ধরা পড়ে বাতিল হয়ে যাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy