কর্মসমিতির বৈঠকে সহ-উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী। শনিবার বিশ্বভারতী, দিল্লির ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিসার্চের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক স্বপন দত্তকে ওই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বভারতীর কর্মসমিতিতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সহ-উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, শ্রীনিকেতনের রবীন্দ্র-আদর্শ পুনরুজ্জীবনের কথা ভেবেই স্বপনবাবুকে ওই পদে আনা হচ্ছে। বিশ্বভারতী এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সহ-উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল।
সংরক্ষণ নিয়ে নানা বিক্ষোভ চলছেই বিশ্বভারতীতে। সম্ভবত সেই কারণেই কর্তৃপক্ষের অনুমান ছিল, শান্তিনিকেতনে কর্মসমিতির বৈঠক হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে। বাধা আসতে পারে কর্মী-অধ্যাপক-আধিকারিক-ছাত্রছাত্রীদের তরফ থেকে। সে কথা অনুমান করেই এ দিন কলকাতায় বৈঠক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমান যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে এ দিন। বিশ্বভারতীতে শনিবার ছুটি ছিল। কিন্তু দিনভর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান কর্মী-অধ্যাপক, আধিকারিক, অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। সংরক্ষণ নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটির তরফে কিশোর ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, “কর্মসমিতির বৈঠকে আমরা অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ নিয়ে বক্তব্য জানাতে উপাচার্যকে বার বার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু উপাচার্য আমাদের এড়িয়ে কলকাতায় বৈঠক করলেন। সেই জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ।”
সংরক্ষণ নিয়ে যদিও এ দিন স্থির সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ নিয়ে কর্মসমিতি ঠিক করেছে, পরের কর্মসমিতিতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কর্মসমিতি মনে করে, সংরক্ষণ কেবলমাত্র বিশ্বভারতীর শিক্ষা সমিতির বিষয় নয়। আইনগত ও বিশ্বভারতীর সংবিধানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই জন্য, এত দিন ধরে ভর্তি সংক্রান্ত যে নিয়ম-নীতি মেনে আসছিল কর্তৃপক্ষ, তার একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করা হবে পরের কর্মসমিতিতে। সেই রিপোর্ট তৈরি করবে উপাচার্যের দফতর। পরের কর্মসমিতির বৈঠক বসছে জুলাই মাসে।
বিশ্বভারতীতে নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বভারতী থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবীন্দ্র-সংগ্রহশালা ব্যবহারে নিষেধ করার সিদ্ধান্ত নিল কর্মসমিতি। শনিবার কলকাতায় গ্রন্থনবিভাগের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, নীলাঞ্জনবাবুকে বিশ্বভারতীর কোনও দফতর, সংগ্রহশালা এমনকী কোনও ভবনেও প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে সমিতি এ দিন সিদ্ধান্ত নেয়, নীলাঞ্জনবাবু যে পদে ছিলেন, রবীন্দ্রভবনের ওই পদটিও বিলোপ করা হবে। নীলাঞ্জনবাবুর দাবি, “দেশের যে কোনও নাগরিকের রবীন্দ্রভবনে পড়াশোনার অধিকার রয়েছে। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy