প্রতীকী ছবি।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের দেখা না পেয়ে অক্সিজেন চলা ছেলেটাকে নিজেরাই স্ট্রেচারে করে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার পথে অসাবধানতায় এক জনের হাত থেকে একটি বোতল পড়ে গিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় বছর বারোর কিশোরের। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয়েরা। শনিবার দুপুরে বাঁকুড়া মেডিক্যালের ঘটনা।
মৃত কিশোর অশোক ধীবরের (১২) বাড়ি পুরুলিয়ার মানবাজারের জিতুজুড়ি গ্রামে। হাসপাতালের সুপার শুভেন্দুবিকাশ সাহা বলেন, ‘‘ছেলেটি শুক্রবার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। অবস্থা ভাল ছিল না। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্গে থাকা কাঁচের হিউমিডিফায়ার বোতল নীচে পড়ে ভেঙে যায়। তবে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন চালু করে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্ট্রেচার বয়ে আনছিলেন অশোকের মামা রমেশ ধীবর ও মাসি তুলসী ধীবর। মাসির হাত থেকেই সিলিন্ডার পড়ে যায়। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা স্ট্রেচার বয়ে নিয়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না।’’ তাঁরা হাসপাতাল সুপার ও বাঁকুড়া সদর থানায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রায় ২০০টি পদ থাকলেও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ৬০ জন। বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব রয়েছে। অশোকের মৃত্যুতে কারও গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট চেয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy