Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ডিভাইডারে ধাক্কা, মৃত ৩ আরোহী

ক্লাবের পুজোর বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। তার পরে গাড়ি নিয়ে ক্লাবের পাঁচ সদস্য বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। ফেরার পথে ওই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার ডিভাইডারে। প্রাণ হারান তিন জন। জখম দু’জন।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৬
Share: Save:

ক্লাবের পুজোর বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। তার পরে গাড়ি নিয়ে ক্লাবের পাঁচ সদস্য বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। ফেরার পথে ওই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার ডিভাইডারে। প্রাণ হারান তিন জন। জখম দু’জন।

শনিবার ভোর রাতে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে দুর্গাপুরের গোপালমাঠের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, লাগামছাড়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা।

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় মৃতরা শৈলেশ পণ্ডিত (৩৫), গোবিন্দ গুপ্তা (৩০) ও বাপি রুইদাস (৪০)। জখম হন বলরাম সাউ ও বেনারসি সিংহ। সকলেরই বাড়ি রানিগঞ্জের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হতাহতেরা রানিগঞ্জের একটি ক্লাবের সদস্য। শুক্রবার রাতে কালীপুজোর বিসর্জনের পরে চালক শৈলেশ-সহ পাঁচ জন দুর্গাপুরের দিকে রওনা হন। ফেরার পথে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। চার জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তিন জনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। বলরাম চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সুস্থ বেনারসি বলেন, ‘‘অকালে বন্ধুদের হারালাম। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’’

পথ নিরাপত্তায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-সহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। কিন্তু তার পরেও জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় লাগাম পড়েনি। পুলিশ জানায়, দু’নম্বর জাতীয় সড়কে শুধুমাত্র দুর্গাপুর থেকে বুদবুদ পর্যন্ত এলাকাতেই গত দু’মাসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। জখম প্রায় ৫০ জন। পুলিশের দাবি, টহলদারি ভ্যান, ট্র্যাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো-সহ নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার পরেও কেন এই হাল? আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এক কর্তার অভিযোগ, অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে নজরদারি কোথাও কম থাকলেই গতির খেলায় মাতছেন ট্রাক, ট্যাঙ্কার বা গাড়ির চালকেরা।

এ দিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি দেখে পুলিশের অনুমান, চালক অন্তত প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন। গাড়িতে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে দাবি করে পুলিশ জানায়, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চালকরা। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগে জাতীয় সড়কে রাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে’ সচেতনতার বার্তা দেওয়ার কথা জানানো হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Accident National Highway Death Injured
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE